জামিনে মুক্ত ইশরাক
কারাবাস শেষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ২০২০ সালে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা মামলায় তাকে জামিন দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ইশরাকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি থেকে ইশরাককে আটক করে পুলিশ। পরে গাড়ি পোড়ানোর পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল মতিঝিল এলাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল দক্ষিণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। লিফলেট বিতরণের সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে মতিঝিল থানা পুলিশ। এরপর তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে ইশরাকের পক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকার ১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষে আসামিরা একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন পুলিশের এসআই আতাউর রহমান ভুইয়া।
এরপর ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন ইশরাক। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন তিনি। মহানগর দায়রা জজ সিএমএম আদালত থেকে নথি তলবপূর্বক জামিনের বিষয়ে ওই বছর ১৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এমএইচ/আরএ/