নতুন ইসি সম্পর্কে জাফরুল্লাহ চৌধুরী
বিএনপি হাবিবুল আউয়ালের উপর আস্থা রাখতে পারে

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল একজন সাহসী, সজ্জন ব্যক্তি, বিএনপি তার উপর আস্থা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, “কাজী হাবিবুল আউয়াল একজন সজ্জন ব্যক্তি, সাহসী ব্যক্তি, নিরপেক্ষ ব্যক্তি। তাকে সবাই সাপোর্ট দিলে এবং সরকার যদি তাকে খুব বিরক্ত না করে তাহলে সামনে ভালো একটা নির্বাচন হবে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাকেই চেয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমি তখনও বলেছিলাম এখনও বলি যাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে তিনি খুবই যোগ্য ব্যক্তি, সাহসী ব্যক্তি। সঠিক কাজ করেছে সরকার। এজন্য সরকারকে কনগ্রেটচুলেট করি। তবে অবশ্য বাকি কমিশনারদের অতটা ইয়ে নাই..। হাবিবুল আউয়াল খুবই শক্ত লোক। তাকে যখন মনোনিত করেছেন তাকে যদি সবরকম সাপোর্ট দেয়, দেশে হয়তো গণতন্ত্র ফিরে পেতে পারে। আমাদের নির্বাচনটা হয়তো সঠিকভাবে হবে ।”
আরও পড়ুন: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবিত নাম থেকেই সিইসি
বিএনপির কি করা উচিত বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঠিক আছে, বাকি চারজনকে দেখে হয়তো বিএনপি ইয়ে করছে। বাকি চারজনের দুজনই হলে সচিব। তাছাড়া আরও ভাল দায়রা জজ ছিল। বিচারপতি সুলতানা উনাদের দিলে হয়তো..। বিএনপি কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপর আস্থা রাখতে পারে। তিনি (হাবিবুল আউয়াল) একজন সজ্জন ব্যক্তি, সাহসী ব্যক্তি, নিরপেক্ষ ব্যক্তি।
এতে কি রাজনৈতিক সংকট দূর হবে বলে মনে করেন? রাজনৈতিক সংকট, মূল বিষয়তো সমাধান হয়নি। বিএনপি বলেছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। দলীয় সরকারের অধিনে সঠিক নির্বাচন হবে না। ওই ইস্যুটা তো রয়ে গেছে। তবে বিএনপির আরও পরিস্কার করে বলা উচিত নির্বাচন কমিশন কি হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। সেই আইনের ভিত্তিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুধিজনের কাছ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের জন্য নাম প্রস্তাবের আহ্বান করে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগসহ ২৪ টি রাজনৈতিক দল, ৬টি পেশাজীবী সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তি নাম প্রস্তাব করে। এই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করে। এই নাম থেকে ১০ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার এর নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন-অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান।
এসএম/
