জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবিত নাম থেকেই সিইসি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবিত নাম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ পেলেন। নির্বাচন কমিশন গঠিনের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে সাক্ষাত করে যে কয়েক জনের ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছিলেন তিনি সেখানে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম ছিল।
কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নতুন আইনের অধীনে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিকদের কাছ থেকে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) ও ইসি (নির্বাচন কমিশনার) মনোনয়নের জন্য নাম আহবান করলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পাঁচ জনের নাম সিইসি হিসেবে প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাবিত নামের মধ্যে ছিল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক সেনা প্রধান ইকবাল করিম ভূইয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা ও অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের নাম ছিল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কমিটির কাছে গিয়ে আরও তিন জনে নাম প্রস্তাব করেন। তার এই প্রস্তাবের মধ্যে সিইসি হিসেবে ছিলেন সাবেক আইন সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল-এর নাম। এই নাম প্রস্তাব সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘কাজী হাবিবুল আউয়াল খুব সাহসী, তাঁকে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা। তবে তিনি বিএনপির ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি। তার এই প্রস্তাব ব্যাপক আলোচনায় আসে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছিলেন, ‘আমরা এত দিন জানতাম উনি (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, তিনি যদি নাম দেন সেই নামটা কি বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না?’
এ ছাড়া, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছিল তরিকত ফেডারেশন। তরিকত ফেডারেশন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল।
সিইসি ও ইসি গঠনের পর প্রতিক্রিয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকার ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন কমিশনকে সাহায্য করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এসএম/এপি/