সিইসি ও ইসি শূন্য নির্বাচন কমিশন
বিদায় নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় কমিশন থেকে বিদায় নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার কমিশনার। ফলে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার পদ শূন্য হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পরিচালনা ছাড়া অন্য সকল দাপ্তরিক কাজ করতে বাধা থাকবে না।
আরও পড়ুন: ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হচ্ছে না নতুন ইসি!
সংবিধানের ১১৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কমিশনারের পদের মেয়াদ তার কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশন কিভাবে চলবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই সংবিধানে। এ কারণে আজ নতুন ইসি গঠন না হওয়ায় কার্যত কমিশন শূন্য থাকছে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ৫ বছর। পাঁচ বছর পূর্ণ হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা পদে থাকতে পারবেন না। তারা চলে যাবেন। এই সময়ে মধ্যে যদি ইসি গঠন না হয় পদগুলো খালি থাকবে। এখানে ভারপ্রাপ্ত কাউকে বসানোর সুযোগ নেই। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বা আইনত কোনো সমস্যা হবে না।
এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ শুরু করেছে সার্চ কমিটি। সার্চ কমিটির কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হতে পারে। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন হতে যাচ্ছে। এর আগে যেহেতু আইন ছিল না, তাই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ থেকে পরবর্তী ৫ বছর দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব বুঝে নেন। তাই ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় আর পদে থাকার সুযোগ নেই। যে কারণে সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত সিইসি শূন্য থাকবে কমিশন।
এসএম/