এমপি পদও হারাতে পারেন মুরাদ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। দলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দল থেকে বহিষ্কার করা হলে সংসদ সদস্য পদও হারাতে পারেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহবুব উল আলম হানিফ। যেহেতু ডা. মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তাই দল থেকে বহিষ্কার করা হলে সংসদ সদস্য পদও হারাতে পারেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পদত্যাগপত্র পাঠানো তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ক্ষমা চেয়েছেন। কিছুদিন ধরে প্রকাশিত তার কিছু বক্তব্য সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতির বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি (ক) উক্ত দল হতে পদত্যাগ করলে অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করলে, সংসদে তার আসন শূন্য হবে।
এদিকে, সংবিধানের ৬৬(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দণ্ডিত হন।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলায় বলা আছে–কোনো সদস্য আওয়ামী লীগের আদর্শ লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্র ও নিয়ামবলি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কার্যনির্বাহী সংসদ, সংসদীয় বোর্ড, সংসদীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোনো কাজ করলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ তার বিরুদ্ধে যে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
সংসদ সদস্য পদ নিয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দল থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি এমপি পদে থাকতে পারেন না। এ ধরনের নজির আগেও ছিল। যেহেতু তিনি একটি দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত, ওই দল তাকে বহিষ্কার করলে সংসদ সদস্য পদও থাকবে না।’
তবে সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার বিষয়টি সুরাহা করবেন স্পিকার। এ বিষয়ে স্পিকারকে অবগত করা হলে তিনি কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এসএম/এসএ/