মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

একদলীয় দীর্ঘ শাসন বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে: জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ একদলীয় শাসনের ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমান্বয়ে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, যা দেশের সমগ্র নিরাপত্তা খাতকেও গ্রাস করেছে। নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পেশাদারিত্বের পরিবর্তে রাজনৈতিক আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একটি রাজনৈতিক দলের টানা পনেরো বছরের শাসনের ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, যা সমগ্র নিরাপত্তা খাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, ‘অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে পেশাদারিত্ব, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং আওয়ামী লীগ ও এর সমর্থিত সরকারে তাদের আনুগত্য বা সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।’

জেনেভা থেকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ‘নিরাপত্তা খাতের রাজনীতিকীকরণ’ বিষয়ে একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) এবং পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নয়, তাদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক দলীয় সংযোগও যাচাই করত।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ডেপুটি ইন্সপেক্টর-জেনারেল (ডিআইজি) বা তার ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ অনুমোদন করতেন এবং আওয়ামী লীগ অনুগত ব্যক্তিদের কৌশলগতভাবে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে বসানো হতো।

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, তাদের তথ্য অনুসন্ধানকারীদের সঙ্গে কথা বলা ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতি ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে রাজনৈতিক দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তির প্রবণতা আগের সরকারগুলোর আমলেও ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতে সামরিক অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখেছে, তবে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর তুলনায় সেনাবাহিনী তুলনামূলকভাবে কম রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত।

কিন্তু, এতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তারা এবং ভেতরের তথ্য জানা ব্যক্তিরা ওএইচসিএইচআর’কে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে সিনিয়র পর্যায়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে সিনিয়র অফিসারদের পদোন্নতি দেওয়া হতো বা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতো। অন্যদিকে যারা অনুগত নয় বলে বিবেচিত হতো, তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হতো, দূরবর্তী পোস্টিং দেওয়া হতো বা কিছু ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতো।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে রাজনীতিকীকরণের ফলে ক্ষমতাসীন দল ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি নেতিবাচক পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করার এবং ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের অপরাধে হস্তক্ষেপ না করার বিনিময়ে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিজেদের গুরুতর অপরাধ ও দুর্নীতির জন্য দায়মুক্তির নিশ্চয়তা পেত।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুরুতর অপরাধের জন্য ফৌজদারি জবাবদিহিতা বিরল ঘটনা ছিল এবং সাধারণভাবে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলো ২৫৯৭টি কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ৭০৮টি গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘র‌্যাব এককভাবে ৮০০টির বেশি কথিত হত্যাকাণ্ড ও প্রায় ২২০টি গুমের ঘটনায় জড়িত ছিল। কিন্তু র‌্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যার দায়ে মাত্র একটি মামলায় সাজা হয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগী ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা।’

নাগরিক সমাজ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিএফআই কর্মকর্তারা ১৭০টিরও বেশি কথিত গুমের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তবে কোনো ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে এখন পর্যন্ত বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।

জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন ও ঘুষ আদায়ের ব্যাপক এবং নিয়মিত চর্চা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘নির্যাতন ও নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু (নিষিদ্ধকরণ) আইন’ প্রণয়ন করলেও তারপর থেকে অন্তত ১০৩ জন বন্দি নির্যাতনে নিহত হয়েছেন।

সরকার এখন পর্যন্ত এই আইনের আওতায় মাত্র ২৪টি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং মাত্র একটিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নির্যাতনে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই দায়মুক্তির সংস্কৃতি আইন ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ। সোমবার (৩১ মার্চ) তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৩৫৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন রোববার (৩০ মার্চ) ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৩ জনের মরদেহ গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে আনা হয়। পাশাপাশি গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩০৫ জন আহত হয়েছেন।

গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন।

দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। প্রায় দুই মাস ধরে তুলনামূলক শান্তি বজায় থাকলেও হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে মতানৈক্যের জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের এই বর্বর আক্রমণের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারও সচল হয়েছে রাজধানীর মেট্রোরেল ও বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন। দীর্ঘ একদিনের বিরতির পর মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে যথারীতি গণপরিবহনগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়, যা ঢাকাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুধুমাত্র ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পরদিন থেকে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী মেট্রোরেল চলবে। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম মেট্রোরেল ট্রিপটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। একইভাবে, মতিঝিল স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে, আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলও মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ঈদের আগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানিয়েছিলেন যে, ঈদের দিন সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে, তবে ঈদের আগে সব ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ (ডে-অফ) বাতিল থাকবে এবং ঈদের পর থেকে তা আবার কার্যকর হবে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে পর্যটক এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। রাজধানীতে গণপরিবহন স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

ঈদের ছুটির পর অফিস ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষের জন্য মেট্রোরেল ও আন্তঃনগর ট্রেনের চলাচল শুরু হওয়া এক স্বস্তির খবর। যাত্রীরা মনে করছেন, স্বাভাবিক গণপরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত সচল হওয়ায় তাদের যাতায়াত সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ যাত্রায় এবার গত এক সপ্তাহে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকার টোল আদায় হয়।

ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়:-

গত ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এরমধ্যে সেতু পূর্ব উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১২ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা। সেতু পশ্চিম ঢাকাগামী লেনে ১২ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে সেতু পূর্বে ১৫ হাজার ৩৫৪ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। অপরদিকে, সেতু পশ্চিমে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৬ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে সেতু পশ্চিমে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৭ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে সেতু পূর্বে ২০ হাজার ২৪১ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১৪ হাজার ৯৮৬ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।

গত ২৮ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

গত ২৯ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

ঈদযাত্রার শেষদিন রবিবার ৩১ হাজার ৪৬৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১০ হাজার ৩৩৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবারের ঈদ যাত্রায় গত এক সপ্তাহে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা। সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এরমধ্যে উভয় পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়। 

তিনি আরো জানান, ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ৪ লেন খুলে দেওয়ায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্য ফিরেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল
রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু
যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১
টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ