বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফেলানী হত্যার ১৪ বছর: আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান মা

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচার পাননি তার পরিবার। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সঙ্গে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন ১৫ বছর বয়সী এই মেয়ে।

আজও তার বাবা-মা ন্যায়বিচারের আশায় অপেক্ষা করছেন, আর ফেলানী হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করার দাবি তুলেছেন তার মা জাহানারা বেগম।

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার ২০১৩ সালে ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে শুরু হয়। আদালত প্রথমে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়। দ্বিতীয়বার পুনর্বিচারের পরেও একই রায় দেওয়া হয়। এরপর ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। তবে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারির পর আর কোনো শুনানি হয়নি। এই দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলানীর পরিবার গভীর হতাশায় রয়েছে।

ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম এবং মা জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ সরকারের অবহেলা ও ভারতের আদালতের দীর্ঘসূত্রিতার কারণেই বিচার হচ্ছে না। তারা শেখ হাসিনার সরকারের পাশাপাশি নতুন সরকারের কাছেও আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এস. এম. আব্রাহাম লিংকনের মতে, ফেলানী হত্যার বিচার শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে না, বরং সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনতেও সহায়ক হবে। সীমান্তে হত্যা বন্ধ এবং সুষ্ঠু বর্ডার ম্যানেজমেন্টের জন্য এই বিচারের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হওয়া উচিত। এটি বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতেও ভূমিকা রাখবে।

বিগত বছরগুলোতে ভারত সরকারের আশ্বাস সত্ত্বেও সীমান্তে হত্যার ঘটনা বন্ধ হয়নি। কুড়িগ্রামবাসীসহ সারা দেশের মানুষ দ্রুত ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি তুলেছেন।

ফেলানীর পরিবার ও কুড়িগ্রামের মানুষ আজও এই হত্যার সঠিক বিচার ও সীমান্তে শান্তির প্রত্যাশায় দিন কাটাচ্ছেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে এই বিচার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সাত দাবি নিয়ে যমুনায় গেলেন ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল

সাত দাবি নিয়ে যমুনায় গেলেন ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিরপরাধ জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে সাত দফা দাবি নিয়ে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনে যমুনায় পৌঁছেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের নেতৃত্বে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় পুলিশি প্রহরায় এই প্রতিনিধি দল যমুনায় যায়।

প্রতিনিধিদলের মধ্যে তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি এবং ছয়জন বিডিআর সদস্যের পরিবার সদস্য রয়েছেন। তারা বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির পাশাপাশি বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। এরপর তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছানোর পর পুলিশ তাদের অগ্রসর হতে বাধা দেয়। পুলিশি বাধার পর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্থতায় একটি প্রতিনিধি দল তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যায়, অন্যরা শাহবাগে অবস্থান করে।

এ আন্দোলনের কারণে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব আশপাশের সড়কেও পড়তে থাকে, যেখানে যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যায়।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার গত কয়েকদিন ধরেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছেন। আজকের পদযাত্রাও তারই অংশ ছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি মূলত বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি এবং বিদ্রোহের সঠিক তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

লন্ডন পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

লন্ডন পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে তাকে ভিআইপি প্রটোকল প্রদান করা হবে বলে হিথ্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে খালেদা জিয়ার যাত্রা শুরু হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে তার গাড়িবহর ফিরোজা থেকে বের হয়। তাকে এক নজর দেখতে রাস্তায় হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক ভিড় করেন। তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গুলশান থেকে বিমানবন্দরের পথ।

রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আট নম্বর গেট (হ্যাঙ্গার গেট) দিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাকে বহনকারী রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার আকাশ ছেড়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কাতারের আমিরের পাঠানো এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা।

লন্ডনে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন এবং পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুলাই মাসের পর এই প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়া বিদেশ সফর করছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগজনিত সমস্যা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্তটি তার পরিবারের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফসল।

এর আগে ঢাকা থেকে বিদায়ের সময় গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক তাকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ঢাকার আকাশে উড্ডয়নের আগে বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার যাত্রা সম্পন্ন হয়।

Header Ad
Header Ad

রামুর স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত, টাকা ছিনতাই

ছিনতাইয়ের শিকার স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে রামু রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করে ৫০ হাজার টাকার বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত স্টেশন মাস্টারের নাম আক্তার হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে চকরিয়া উপজেলার শাহাবিল স্টেশন থেকে বদরখালী যাওয়ার পথে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী জানান, আক্তার হোসেন তার বোন জামাইয়ের টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ইলিশিয়া লম্বা রাস্তায় তার গাড়ি থামিয়ে একদল ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং তার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন, পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর অবশেষে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সাত দাবি নিয়ে যমুনায় গেলেন ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল
লন্ডন পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
রামুর স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত, টাকা ছিনতাই
চলমান সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সরকার জরুরি: আবদুল আউয়াল মিন্টু
আচরণ ঠিক করতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পুলিশ
ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ
বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, পুলিশের বাধা
কানাডায় নিখোঁজের একমাস পর মিলল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ
নিষিদ্ধ হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
নওগাঁয় এক হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়, বিপাকে কৃষকরা
যুবদল নেতার সাহায্যে ভারতে পালান ওবায়দুল কাদের!
ইন্টারপোলের আদলে ‘ভারতপোল’ চালু করল ভারত
সরকারি স্কুলের পাশেই ইটভাটা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
দ্বিগুন হলো মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর
১০০ টাকার রিচার্জে কর দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা!  
বিকেলে লন্ডন পৌঁছবেন খালেদা জিয়া  
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিয়ন্ত্রনের উপায়ন্তরেও লাভ হচ্ছে না  
আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান