বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান

এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত এই টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১১টি সংস্থার প্রতিনিধি। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স বেশ কয়েকটি বড় অর্থ পাচার চক্রকে চিহ্নিত করেছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে। এতে মোট পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে, ব্যাংক খাত থেকে পাচার হয়েছে ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠিত টাস্কফোর্স এই পাচার ঠেকাতে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কাজ করছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপসহ বেশ কিছু নামকরা শিল্পগোষ্ঠী এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মতো ব্যক্তিদের অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।

টাস্কফোর্সের তদন্তে জানা গেছে, এস আলম পরিবারের সদস্যদের নামে ৩৫০টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যেখানে বিপুল অঙ্কের লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, তারা সিঙ্গাপুরে হোটেল ও পর্যটন খাতে বিশাল বিনিয়োগ করেছে।

টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি অন্তর্ভুক্ত:

- পাচার হওয়া অর্থ চিহ্নিত করা ও তদন্তে সহযোগিতা।
- বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ ফেরত আনা।
- সংশ্লিষ্ট মামলার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
- পাচার ঠেকাতে নতুন আইনি কাঠামো ও নীতি প্রণয়ন।

বেক্সিমকোর মালিক সালমান এফ রহমান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদার নামে-বেনামে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সিঙ্গাপুরে এস আলম পরিবারের হোটেল ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের তথ্যও সংগ্রহ করেছে টাস্কফোর্স।

অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তবে সুনির্দিষ্ট নথিপত্র ও আন্তর্জাতিক সমঝোতার ভিত্তিতে এটি সম্ভব। এর আগে ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ৯৩০ কোটি ডলার ফেরত আনার উদাহরণ রয়েছে।

টাস্কফোর্স বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহযোগিতায় পাচার রোধে কাজ করছে। তবে আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ হলেও দেশে ফেরত আনা গেলে এটি দেশের অর্থনীতির জন্য বড় সাফল্য হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তন ঘটে। এসময় পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি ৭০০ অপরাধীকে, যাদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গিও রয়েছে। এ ছাড়া, দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রতিটি ঘটনাকে আলাদাভাবে পর্যালোচনা করে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার সংস্কার দরকার জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে, এগুলো দ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কোনো আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর আর কোনো দায় থাকে না কারা কর্তৃপক্ষের। কোনো কয়েদিকেই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আর যারা ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য, তাদের তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্যে উঠে আসে, ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের আগে ও পরে বিভিন্ন কারাগার থেকে ২২শ’ আসামি পালিয়ে যায়, যাদের ১৫শ’ জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৭০ জন ফাঁসি ও আলোচিত মামলার আসামি এখনও পলাতক।

এদিকে, কারারক্ষী কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Header Ad
Header Ad

ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি

পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই এই চিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি দেশে আসছে।

কয়েক দশক পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনলো ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।

গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।

থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করেছে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চলা গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে। এ সময় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে এজলাসে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়রকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের।

গত ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে আদালতে এদিন হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে কামরুল ইসলামকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

এরও আগে গত ৬ নভেম্বর পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমুকে গ্রেপতার করে ডিবি পুলিশ। একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ
ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ