সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
দেশে জরুরি সংস্কার কাজ শেষ হলেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ ২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করছে চলমান সংস্কারের অগ্রগতির ওপর। তিনি বলেন, "স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন। আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমরা দেশের ভোট ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচন দেওয়া হবে। তবে এ কাজে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। সরকার, সংসদ ও নির্বাচনী বিধিমালা কেমন হবে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।"
সরকারের মেয়াদ যত কম হবে ততই মঙ্গল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, "আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে আছি, তাই মেয়াদ যতটা কমানো যায় ততই ভালো। দ্রুত নির্বাচন দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।"
দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, "যেকোনো সরকারই দেশের অস্থিরতা নিয়ে চিন্তিত থাকে, আমরাও আছি। আমরা আশা করছি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম হব।"
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। এরপর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যা সংস্কার কাজ শুরু করেছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ হলে সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেবে।
এরপর জাতিসংঘ সদর দফতরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস জানান, সংস্কার ও পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকার কাজ শেষ হলেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।