কপ ২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
কপ ২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই প্রথমবার জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। সেখানে বিশ্বনেতাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অধ্যাপক ইউনূস।
বিশ্বমঞ্চে নতুন ভূমিকায় তাকে পেয়ে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সম্মেলনের প্রথম দিনেই অধ্যাপক ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং তারা তার প্রতি শুভেচ্ছা প্রকাশ করেন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মধ্য দিয়ে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর, প্রথম সফর ছিল জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কে।
মঙ্গলবার সকালে কপ ২৯ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর অধ্যাপক ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, লিচেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেক্রিভিটসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সাথেও তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ এই সম্মেলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কপ ২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পূর্বাঞ্চলের বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হবে। এছাড়া, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইবে।
১১ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান কপ ২৯ সম্মেলনে শতাধিক দেশের নেতারা অংশ নিচ্ছেন, যা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত। মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করা।
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ) জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্যোগের একটি অংশ, যা ১৯৯৫ সালে প্রথম শুরু হয়।