বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিশু মুনতাহার নির্মম হত্যাকাণ্ড: গৃহশিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যসহ ছয়জন গ্রেপ্তার

শিশু মুনতাহার নির্মম হত্যাকাণ্ড: গৃহশিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যসহ ছয়জন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও নানি কুতুবজান বিবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও তিনজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে স্থানীয়রা মুনতাহার মরদেহ মাটি থেকে তুলে পাশের পুকুরে ফেলার সময় গৃহশিক্ষিকার মাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। মুনতাহার মরদেহটি উদ্ধার করার সময় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত মুনতাহা কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের কন্যা।

কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুনতাহা একটি আপেল খেতে খেতে গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়ার ঘরে প্রবেশ করলে মার্জিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান মরদেহটি বাড়ির পেছনের নর্দমায় ফেলে দেয়।

শনিবার রাতে গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরবর্তীতে রাতের বেলায় স্থানীয়রা তল্লাশি চালিয়ে মরদেহটির খোঁজ পায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, মুনতাহার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশ তৎপর ছিল তবে কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া দেখতে পেয়ে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।

স্থানীয়দের ধারণা, হত্যাকারীরা প্রথমে মাটিতে পুঁতে রেখে মরদেহ লুকানোর চেষ্টা করে এবং পরে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলে বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চেয়েছিল। মুনতাহার পরিবারসহ স্থানীয়দের সাথে মার্জিয়ার পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে তার সন্ধান দাতার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। কয়েকজন প্রবাসী মুনতাহার সন্ধান দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া, সিলেটের নারী সমাজকর্মী ফারমিস আক্তার মুনতাহার সন্ধান দাতার জন্য একটি স্বর্ণের চেইন পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন।

অবশেষে স্থানীয়দের তৎপরতায় পুলিশের সহায়তায় মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে।

Header Ad

বশির উদ্দিন ও ফারুকীকে সরাতে আইনি নোটিশ

ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন সদ্য অন্তর্বর্তী সরকারে নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টা । তাদের দুজনের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন এক আইনজীবী।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম।

নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাদের পদত্যাগ কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে এই নোটিশে। অন্যথায় ওই আইনজীবী নিজেকে উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের উপাদান বিদ্যমান এমন ব্যক্তিদের উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমরা চাই তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কলঙ্কমুক্ত ও বিতর্কিতমুক্ত হোক।

গত রোববার নতুন তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ দেন মাহফুজ আলম, সেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মাহফুজ আলমকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না উঠলেও বাকি দুজনকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক ওঠে।

ফারুকীকে নিয়ে বিতর্কের কারণ হলো, ফারুকী ও তার অভিনেত্রী স্ত্রী তিশা শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে শেখ হাসিনার সাথে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার হাস্যোজ্জ্বল ছবিও পোস্ট করেছেন।

অন্যদিকে সেখ বশির উদ্দিন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সেখ আফিল উদ্দিনের ভাই ও একটি মামলার আসামি এমন তথ্যও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তার নাম সম্বলিত মামলার কাগজের ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে এটি সঠিক কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।

Header Ad

ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো। সরকারের পক্ষ থেকে গায়েবি মামলা দিত। আর এখন সত্যিকার ভুক্তভোগী লোকজন ঢালাওভাবে মামলা দায়ের করছে। ঢালাও মামলার মারাত্মক প্রকোপ দেশে দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করে। আমরা অনেক ধরনের আইনি সংস্কার, পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি, বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যে বিচারক নিয়োগ হবে, এটি আমরা একটি আইনের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন করার দাবি সমাজে বহুদিন ধরে আছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে একটি আইন তৈরি হয়েছিল। সেটি পরে আইনে রূপান্তরিত হয়নি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এসে সেটিকে আর আইনে রূপান্তরিত করেনি। আমরা ওই আইনটি আরও বেশি যুগোপযোগী করার জন্য তাদের সহায়তা চেয়েছি, পরবর্তী যে নিয়োগ হবে তা যাতে আমরা আইনের ভিত্তিতে করতে পারি।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে এ উপদেষ্টা বলেন, কমিশন যেভাবে অগ্রসর হচ্ছেন, তাতে আমি খুবই আশাবাদী হয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা যেমন বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন বা স্বপ্ন দেখছেন, তা যদি সত্যিই করা যেত তাহলে সম্ভবত আমাদের বিচারাঙ্গনে সমস্যা যা আছে তা আর থাকত না কখনও।

Header Ad

বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

দেশে রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে। তাই বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে, বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন হাসনাত।

তিনি লিখেন, ‌‘রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে।’

পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে হাসনাত বলেন, ‌‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একদফা (শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি) হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) সংবিধানপ্রীতি, মুজিবের ছবি সরানোর কারণে আমরা দেখলাম যে, গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা একটি দলের মাঝে এখন একটা প্রীতি দেখা যাচ্ছে। দেখলাম যে একটা বক্তব্য দেয়া হয়েছে যে, এটা (শেখ মুজিবের ছবি সরানো) ঠিক হয়নি। মোস্তাকের সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে যে, মোস্তাক এই কাজ করেছিল। এই বিষয়গুলো দুঃখজনক।’

এছাড়া রাজনীতিবিদরা অগ্রজ এবং অনুজের মাঝে বিভাজন তৈরি করছে বলেও মনে করেন তিনি।

বর্তমান সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়েও অসন্তোস প্রকাশ করেন হাসনাত গণমাধ্যমকে বলেন, এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। অথচ এই সংবিধানের অধীনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেই সরকার শপথ নিচ্ছে।

এই বিষয়গুলো কোথাও না কোথাও বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটে ঘাটতি তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন হাসনাত।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বশির উদ্দিন ও ফারুকীকে সরাতে আইনি নোটিশ
ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা
বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান
‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল
সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী বেনু গ্রেপ্তার
পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে না চললে আ’লীগের মতো ছিটকে পড়তে হবে : মঈন খান
দুই মাসে তিতাসের অভিযানে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
রোবটের আঁকা একটি ছবি বিক্রি হলো ১৫ কোটি টাকায়
কপ ২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে গেল বাংলাদেশ
আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলা সেই জাবি অধ্যাপক বরখাস্ত
পত্রিকার সঠিক প্রচার সংখ্যা প্রকাশে সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলেন তথ্য উপদেষ্টা
হানিমুনের আগেই সুখবর দিলেন শিরিন শিলা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি