সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিশু মুনতাহার নির্মম হত্যাকাণ্ড: গৃহশিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যসহ ছয়জন গ্রেপ্তার

শিশু মুনতাহার নির্মম হত্যাকাণ্ড: গৃহশিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যসহ ছয়জন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও নানি কুতুবজান বিবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও তিনজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে স্থানীয়রা মুনতাহার মরদেহ মাটি থেকে তুলে পাশের পুকুরে ফেলার সময় গৃহশিক্ষিকার মাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। মুনতাহার মরদেহটি উদ্ধার করার সময় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত মুনতাহা কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের কন্যা।

কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুনতাহা একটি আপেল খেতে খেতে গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়ার ঘরে প্রবেশ করলে মার্জিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান মরদেহটি বাড়ির পেছনের নর্দমায় ফেলে দেয়।

শনিবার রাতে গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরবর্তীতে রাতের বেলায় স্থানীয়রা তল্লাশি চালিয়ে মরদেহটির খোঁজ পায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, মুনতাহার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশ তৎপর ছিল তবে কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া দেখতে পেয়ে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।

স্থানীয়দের ধারণা, হত্যাকারীরা প্রথমে মাটিতে পুঁতে রেখে মরদেহ লুকানোর চেষ্টা করে এবং পরে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলে বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চেয়েছিল। মুনতাহার পরিবারসহ স্থানীয়দের সাথে মার্জিয়ার পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে তার সন্ধান দাতার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। কয়েকজন প্রবাসী মুনতাহার সন্ধান দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া, সিলেটের নারী সমাজকর্মী ফারমিস আক্তার মুনতাহার সন্ধান দাতার জন্য একটি স্বর্ণের চেইন পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন।

অবশেষে স্থানীয়দের তৎপরতায় পুলিশের সহায়তায় মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

জন্মসূত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্তির নিয়ম বাতিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী শিশুদের সহায়তায় ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। নভেম্বরের নির্বাচনে জয় লাভের পর এটি ছিল কোনো সম্প্রচার চ্যানেলে তার প্রথম সাক্ষাৎকার।

ট্রাম্প জানান, আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তিনি ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমা করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। তিনি বলেন, “এই মানুষগুলো ভয়ানক যন্ত্রণা ভোগ করছে। আমরা প্রতিটি মামলাকে স্বতন্ত্রভাবে দেখব, তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রচলিত নিয়ম বাতিল করার পরিকল্পনা করছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে-কোনো শিশু, তার বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়ে থাকে।

ট্রাম্পের দাবি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়মটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী থেকে এসেছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রত্যেকেই নাগরিকত্বের অধিকারী। তবে তিনি এই নিয়ম পরিবর্তনের জন্য নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে উদ্যোগ নেবেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অভিবাসন, জ্বালানি, এবং অর্থনীতি নিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।

এই পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম বাতিল করা মার্কিন সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

Header Ad
Header Ad

দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের বিভিন্ন দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুদক তো ছিল, উচ্চ আদালতও ছিল... কোনো বিচার হয়েছে? বিচার কার হতো... বেগম খালেদা জিয়ার। তিন কোটি টাকা একটা জায়গায় রেখেছে... প্রক্রিয়াগত ভুলের জন্য... একটা টাকা সেখান থেকে কেউ আত্মসাৎ করে নাই... আত্মসাৎ করা মানে ভোগ করা। কেউ তা করেছিল? তিন কোটি টাকা ব্যাংকে ছিল ৬ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা কেউ স্পর্শ করে নাই, সেই জন্য এই দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দিয়ে দিয়েছে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই দেশের দুদক আর বিচার বিভাগ মিলে। আর সেই চোর প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যার পুরো পরিবার ছিল চোর। সে সারা দেশে বলে বেড়াতো এতিমের টাকা নাকি বেগম খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেছে। এই চোরের মুখের সামনে কেউ কোনো কথা বলতে পারতো না। দুদক তার দাসে পরিণত হয়েছিল, বিচার বিভাগ তার দাসে পরিণত হয়েছিল।’

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায়, আড্ডায় শুনতাম শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার কে, রেহানার ক্যাশিয়ার কে, সালমান এফ রহমান কার ক্যাশিয়ার, জয়ের টাকা কার মাধ্যমে যায়, পলক কার টাকা রাখে। আপনার শুনতেন না এসব? এমন কেউ কি আছেন যে এগুলো শুনতেন না? আছেন?

বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।

দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা কাজ করতে পারেন নাই। এমন এক্সকিউজ দিতে পারেন। তার মধ্যেও কেউ কেউ কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এখন সেই পরিবেশ নাই। এখন কোনো উপদেষ্টার তরফ থেকে কেউ ফোন করেছে কোনদিন? কেউ আপনাদের কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। আপনারা প্রমাণ করেন যে, ভালো পরিবেশ পেলে আপনারা ভালো কাজ করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আমরা দোষ দেবো, সবাইকে দোষ দেবো। কিন্তু এই দোষ দিয়ে নিজের অন্যায় থেকে নিজে যেন পার পাওয়ার চেষ্টা না করি। নিজেকে জিজ্ঞেস করেন আমরা কী সৎ আছি।

Header Ad
Header Ad

বাগআঁচড়ায় দুই মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো একটি বেসরকারি হাসপাতাল। রোববার রাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই মাথাওয়ালা এক শিশুর জন্ম হয়েছে। শিশুটির মা সুস্থ থাকলেও, শিশুটি জন্মের পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়।

বাগআঁচড়া নার্সিং হোমে রাত সাড়ে ১১টায় ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। নবজাতকের পিতা নূরুন নবী শার্শার কায়বা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর নাম রত্না খাতুন।

নবজাতকের পিতা জানান, আল্ট্রাসনোগ্রামে জমজ সন্তানের আশা করলেও অস্ত্রোপচারের পর দেখা যায় শিশুটি দুই মাথাওয়ালা। তবে তার শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক ছিল। শিশুটিকে দ্রুত যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির মাত্র দুই ঘণ্টা পর শিশুটির মৃত্যু হয়।

বাগআঁচড়া নার্সিং হোমের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বেলায়েত হোসেন জানান, শিশুটির এই অবস্থা ছিল "কনজয়েনড টুইন" নামক একটি বিরল জটিলতার কারণে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, "গর্ভে ভ্রূণের আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটে। অনেক সময় এসব শিশু জন্মের আগেই মারা যায় কিংবা জন্মের পর টিকতে পারে না।"

এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন ঘটনা খুবই বিরল এবং জটিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের
দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল
বাগআঁচড়ায় দুই মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু
শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সেরা ৭টি খাবার
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে ‘অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট’ বসাচ্ছে ভারত
ছাত্র আন্দোলনে অপেশাদারিত্বের জন্য ক্ষমা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
ই-মেইল বা রেজিস্টার্ড মোবাইল ছাড়াই ফেরত পেতে পারেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
ইইউ’র ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক চলছে প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশ ও ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে
বাশারের ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেল ১ লাখ ৩৭ হাজার বন্দী
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের লংমার্চ বুধবার
আইরিশদের সামনে ১২৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিল বাংলাদেশ
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন বাশার আল-আসাদ
১৭ জানুয়ারি মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদন শুরু মঙ্গলবার
অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের তালিকায় ভারতীয়দের আধিপত্য, বছরে পাচার বিপুল অর্থ
গণভবনের মতো আসাদের বিলাসবহুল বাসভবনেও জনতার লুটপাট
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
বিজয় দিবস উপলক্ষে ৮ দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা
জুলাই-আগস্টের ঘটনায় অনেক বাদী মামলা বাণিজ্য করছেন: ডিএমপি কমিশনার
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হতে পারেন বাশার আল আসাদ?