২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতিকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, "আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকুন। তাই তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, যেন তিনি পদত্যাগ করেন।"
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, রাষ্ট্রপতি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তাহলে তারা তাকে অপসারণের বিকল্প উপায় খুঁজে বের করবেন এবং দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
বাহার উদ্দিন নামে এক ছাত্রনেতা, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়েছেন, বলেন, "রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী এবং স্বৈরাচারী সরকারের সহচর। আমরা চাই না স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতির পদে থাকুক।"
আরেক আন্দোলনকারী মো. সোহাগ বলেন, "আমরা দেখতে চাই রাষ্ট্রপতি চুপ্পু কতদিন বঙ্গভবনে টিকে থাকতে পারেন। আন্দোলনের আহতরা যখন পথে পথে সংগ্রাম করছে, তখন স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতি কেন আরামে বঙ্গভবনে থাকবেন?"
বঙ্গভবনের সামনে ইনকিলাবের মঞ্চ নামে আরেকটি সংগঠনের প্রায় অর্ধশত লোক জমায়েত হয়। তারা বর্তমান রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানায়।
বঙ্গভবন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ, স্থানীয় থানার পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা, যিনি ছাত্র-জনতার চাপে পালিয়ে যান। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে জানান, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তবে, সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো নথি পাননি এবং প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। এরপর থেকেই আন্দোলন নতুন করে তীব্র হয়।