জাতীয় শোকসহ ৮টি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত সেপ্টেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এসব দিবস বাতিলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে সরকার।
বাতিলকৃত জাতীয় দিবসগুলোর মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে:
- ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস
- ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী
- ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী
- ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস
- ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস
এ ছাড়া বাতিলকৃত অন্যান্য দিবসের মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০২০ সালে এ দিনটিকে 'ক' শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের মর্যাদা দেয়। প্রতিবছর বিপুল বাজেটে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়, যা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে কার্যকর হয়। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, ১২ ডিসেম্বর, প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালিত হয়, যা পরবর্তীতে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস' নামে পরিবর্তিত হয়। ২০২৩ সালে এটিকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস' হিসেবে পালিত করা হয়।
এবার এসব জাতীয় দিবসগুলোর সরকারি স্বীকৃতি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।