রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বাংলাদেশের মানুষের যে আশা ও প্রত্যাশা সেই আশা-প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হব। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই।

আমরা কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছি, কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাজ করতে হবে। দেশে রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথও বের করে হবে। যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমরা অর্থনৈতিকসহ সব দিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হব।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ঐতিহাসিক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি, মূলত বাংলাদেশের মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ যারা আছেন এই মানুষগুলোর মধ্যে অনেককেই আমরা হারিয়েছি, অনেকেই শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন তাদের সবার আত্মত্যাগের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি, অল্প লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সামনে আরও অনেক পথ বাকি আছে। সেই পথ পাড়ি দিতে পারলে মানুষের ভোটের অধিকারও নিশ্চিত হবে।

বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুরের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আমরা যদি এই এলাকার দিকে তাকাই তাহলে আমরা সম্ভাবনাময় একটি এলাকা দেখতে পাই। সিরাজগঞ্জের নাম আসলেই সামনে ভেসে ওঠে তাঁতশিল্পের কথা। এই পেশার সাথে অসংখ্য মানুষ যুক্ত। এর আগেও কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কৃষি ঋণ মওকুফসহ অনেক কিছু করেছিলেন। আমার ইচ্ছা, বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে এই তাঁতশিল্পের পাশে এসে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। সারা পৃথিবীর নানান প্রান্তে বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের মাধ্যমে এই শিল্পকে কীভাবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা আমরা করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌহালীর চীনাবাদামকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, কেন এই কৃষকদের পাশে সরকার দাঁড়াবে না, কেন এই চীনাবাদাম ছড়িয়ে দেওয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব এই চীনাবাদাম বিদেশে রপ্তানি করতে। তখন বৃহৎ আকারে চাষ হলে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। বাংলাদেশের রসুনও রপ্তানি করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আমি বগুড়া যাওয়ার সময় সিরাজগঞ্জে মাঠের পর মাঠ হুলুদে ঢাকা দেখতাম। এই সরিষাও বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন আমরা আমাদের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি থেকে শুরু করে সকল ফসল ঘরে না তুলতে পারি, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম যে মানুষগুলো আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে, তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

এর আগে স্মরণসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা দারুন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল। কিন্তু পরে সবাই বুঝতে পেরেছে তারেক রহমানের সেই সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে গুম করছে, একের পর এক গুম-খুনের মধ্যে দিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে নিহত ও আহতদের স্মরণ করছি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে তরুণদের একটা বড় ভূমিকা আছে। এই ভূমিকায় আছেন তারেক রহমানও।

বৃষ্টির কারণে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে তিনি বলেন, আমি কথা বাড়াব না। শুধু বলি, একটা উত্তাল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বৃষ্টিতে ভিজে নানান স্লোগান দিতে থাকেন।

Header Ad

সংবিধান পরিবর্তন করলে আমাদের আপত্তি নেই : নুরুল হক নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বিপ্লবের পর বিভিন্ন দেশে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। বাংলাদেশের যে সংবিধান তা মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা দিতে পারেনি, তাই নতুন করে সংবিধান পরিবর্তন করলে আমাদের আপত্তি নেই।’

আজ শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণঅধিকার পরিষদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে আইনজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আইনজীবী অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে নিয়ম থাকা উচিত। আদালতকে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন করা উচিত নয়। বিচারবিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার যে কথা আমরা বলি, তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলায় জেলায় নিরপেক্ষ লোককে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।’

‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার সুযোগ পেয়েছি, এখন সময় এসেছে দেশকে সংস্কার করার। বিভিন্ন সময় দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে কিন্তু দেশের গুণগত পরিবর্তন হয়নি। এই জাতি তো বারবার জীবন দেবে না, তাই এখন সময়কে কাজে লাগাতে হবে।’

নুর বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা কোটা আন্দোলন করেছি, চাইলে আমরা চাকরিতে ঢুকে যেতে পারতাম। আমরা যখন দেখেছি কোটাকে সংস্কার করে লাভ নেই, রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে এ রকম শতসহস্র অনিয়ম সেগুলো সংস্কার করবে কারা? জাতির সামনে সে রকম নেতৃত্ব নেই। সেজন্য আমরা রাজপথ থেকে উঠে এসে রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। দল ঘোষণার এক বছরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সব শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন পেয়েছি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম আজকে সফল হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘তরুণ, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশ নতুনভাবে বিনির্মাণ সম্ভব নয়। ৫৩ বছরেও যারা পারেনি, তারা সামনেও পারবে কি না সেটা নিয়ে জনগণের সংশয় আছে। নবগঠিত আইনজীবী অধিকার পরিষদকে বলব, আপনারা তৃণমূল পর্যায়ে যাবেন। আইনজীবী অধিকার পরিষদের মূল কাজ হবে সুবিচার নিশ্চিত করা।’

এ সময় অ্যাডভোকেট গোলাম সওয়ার জুয়েলকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকীকে সদস্যসচিব করে বাংলাদেশের আইনজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর।

সিলেটে একদিনে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে একদিনে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কানাইঘাটে দুই জন, জৈন্তাপুরে দুই জন ও কোম্পানীগঞ্জে একজন মৃত্যুবরণ করেন।

স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান দুই জন। তারা হলেন– লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেউটিহাওর গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে কালা মিয়া (৩৫) ও কানাইঘাট পৌরসভার উত্তর দলইরমাটি গ্রামের তুতা মিয়ার ছেলে নূর উদ্দিন (৫৮)।

কেউটিহাওর গ্রামের কালা মিয়া (৩৫) শনিবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। আর বিকেল ৩টার দিকে উত্তর দলইরমাটি গ্রামের নূর উদ্দিন (৫৮) বাড়ির পাশে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

কানাইঘাটে বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা নাসরীন বলেন, বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুজন ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জেনেছি। আমরা তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

এদিকে দুপুরে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও একই ইউনিয়নের ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নন মনই (৪৫) বজ্রপাতে মারা গেছেন।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি বজ্রবৃষ্টি চলাকালে সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ জানান।

এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামে বজ্রপাতে নেজামুল হক (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ২টায় উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের আরফান আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেজামুল হক আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ দেখে বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস বাড়িতে নিয়ে আসার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও ইউনিয়ন বিট অফিসার মনজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃত ব্যক্তির মরদেহ এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অনার্স-মাস্টার্সে তৃতীয়, ঢাবি শিবির সভাপতি কে এই সাদিক?

সাদিক কায়েম । ছবি: সংগৃহীত

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই সামনে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যমত সমন্বয়কও ছিলেন। হঠাৎ করে প্রকাশ্যে আসা কে এই সাদিক কয়েম সেটি জানার চেষ্টা করছেন নেটিজেনরা।

জানা গেছে, সাদিক কায়েম ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। মেধাবী এই তরুণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফলাফলে নিজ বিভাগের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন। স্নাতকে তার সিজিপিএ ছিল ৩ দশমিক ৭৮। তবে স্নাতকোত্তরে সাদিক কায়েমের সিজিপিএ কত ছিল সেটি জানা সম্ভব হয়নি।

ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সাদিক খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে কামিল পাশ করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এদিকে হঠাৎ করে সাদিক কায়েমের এভাবে প্রকাশ্যে আসায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা ভাসছেন সাদিক কায়েম। নাজমুল হাসান রাসেল নামে একজন লিখেছেন, ‘‘ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হচ্ছে, তা আমাদের ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চব্বিশের শহীদদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমরা নতুন ছাত্ররাজনীতির জন্য একতাবদ্ধ হতে চাই। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মতপার্থক্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা সকলেই এই পথে এগিয়ে যেতে পারি।’’

আলমগীর হোসেন লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের জন্য সবকিছুকে যেন আরো সহজ করে দিন। আমার মনে হয়, এই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের কোন সভাপতি সংগঠনের পদবি ব্যবহার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আবারো আলহামদুলিল্লাহ।’’

এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম নিজেকে ছাত্র শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দেন। পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দেন তিনি।

ফেসবুকের ওই পোস্টে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোন রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা। ফ্যাসিবাদ ছাড়া সকল বাদ, ইজম ও রাজনীতি ফ্যাসিবাদে অনুপস্থিত থাকে। ফ্যাসিবাদে কোন রাজনীতি নাই, শুধু ফ্যাসিবাদই আছে। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি এসব রাজনীতি না। এগুলি ফ্যাসিবাদ।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গত ষোল বছরের ভয়ংকর দিনগুলো কিংবা তারও পূর্বের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছিলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কিন্তু চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সমস্ত ভুল ভেঙে দিয়েছে। রাজনীতি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন সচেতনতা। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, “এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’’।

আমরা জানি এই স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছে রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট এবং দলের আওতামুক্ত রাজনীতি সচেতন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কোন রাজনীতিই না। আমরা চাই সেই রাজনীতির আদর্শে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার হবে। ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু কোন হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম থাকবে না। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি। মধুতে ভিন্নমতের কেউ চা খেলে অপর পক্ষের কেউ তেড়ে আসবে না। একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্রসংসদ ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি।

গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে রাখতে হবে সজাগ ও পূর্ণ দৃষ্টি। এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

সর্বশেষ সংবাদ

সংবিধান পরিবর্তন করলে আমাদের আপত্তি নেই : নুরুল হক নুর
সিলেটে একদিনে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু
জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান
অনার্স-মাস্টার্সে তৃতীয়, ঢাবি শিবির সভাপতি কে এই সাদিক?
সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৩ হাজার ছাড়ালো
প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা: শ্রম সচিব
পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : জামায়াত আমির
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: হাসান আরিফ
ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও রয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রাধ্যক্ষ পরিবর্তন
ভারত পালানোর চেষ্টায় ৩ রোহিঙ্গা নারীসহ ১৭ জন আটক
ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা সচিবালয় হবে : প্রধান বিচারপতি
সোমবার নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, জাতিসংঘে ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক শামছুল আলম
দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ
প্রচণ্ড গরমে পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা শরবত বিতরণ
বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিলো ভারত
‘মালিঙ্গা হয়ে গেলে নাকি, একের পর এক ইয়র্কার দিচ্ছো’-সাকিবকে কোহলি