সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলোচনা যেনো কোনোভাবেই থামানো যায় না। একের পর এক ইস্যুতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন সাকিব। গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে শেষ পর্যন্ত সেরকম কিছুই হয়নি।
ভারত সিরিজের পর তিনটি সিরিজেই তিনি ছিলেন দলের বাইরে। এমনকি খেলা হচ্ছে না চলমান বিপিএলেও। সে কারণে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব খেলবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা থামছে না। এবার এ প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) মিরপুরে প্রেসবক্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা প্রসঙ্গে ফারুক জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত সাকিবের জন্য অপেক্ষা করবে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ বিষয় সাকিব ও সরকারি মহলের সঙ্গে কথা বলবে বিসিবি।
সাকিবের বিষয়টি যে শুধু বিসিবি-সংশ্লিষ্ট, তা নয়। বরং এর সঙ্গে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলও জড়িয়ে। যে কারণেই বিসিবি সভাপতি সাকিবের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকারের সবুজ সংকেত পেতে হবে বিসিবিকে।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের বিষয়ে আমরা সরকারের সংশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো। তাকে যেন খেলানো যায়, সেজন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো। সাকিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো (খেলতে পারবে কিনা)।’
প্রেসবক্সে নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি জানান, তার কাছেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা বলেছেন শান্ত। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, সেটি খুলে বলেননি শান্ত। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দায়িত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে আর টেস্টে এখনো শান্তই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা বলেছে শান্ত। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে এখনো সে আমাদের অধিনায়ক, আমাদের প্রিয় খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তই বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকবেন।’