বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২১ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন ডিসির ৫৬ জনই আওয়ামী লীগের তালিকার!

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২০ আগস্ট সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি বিদ্যমান জেলা প্রশাসক পদায়ন নীতিমালা ও গত সরকারের তৈরি ডিসি ফিটলিস্ট বাতিল করা হয়। এরপর নতুন ফিটলিস্ট তৈরির জন্য টানা দুই সপ্তাহ বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে তৈরি করা হয় ফিটলিস্ট।

কিন্তু গত সোম ও মঙ্গলবার যে ৫৯ জনকে ডিসি হিসেবে পদায়ন করা হয়, সেখানে গত সরকারের আমলে বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়া ও নানাভাবে কোণঠাসা থাকা মাত্র তিনজন কর্মকর্তা ঠাঁই পেয়েছেন। বাকি ৫৬ কর্মকর্তা গত ১৬ বছরে নিয়মিত পদোন্নতি পেয়েছেন। বেশির ভাগই ভালো পদায়ন নিয়ে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছেন। ছিলেন আওয়ামী লীগের করা ফিটলিস্টে, স্থান পেয়েছেন নতুন ফিটলিস্টেও।

বঞ্চিত যারা নতুন ডিসির তালিকায় স্থান পেয়েছেন তারা হলেন– যশোরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. আজহারুল ইসলাম, চট্টগ্রামের ডিসি নিয়োগ পাওয়া ফরিদা খানম এবং বগুড়ার ডিসি পদ পাওয়া হোসনা আফরোজা।

নতুন করে ফিটলিস্ট তৈরির সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, এবার নতুন ডিসি নিয়োগের মানদণ্ড হবে মেধা, দক্ষতা ও সততা। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত সোমবার প্রথম দফায় যে ২৫ জনকে ডিসি হিসেবে পদায়ন করা হয়, তাদের মধ্যে মাত্র ১১ জন মেধায় চাকরি পেয়েছেন। বাকি ১৪ জন বিভিন্ন কোটায় চাকরিতে এসেছেন।

২৫ জনের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে দু’জন বিগত সরকারের আমলে নানাভাবে বঞ্চিত ছিলেন। ২৩ জন নিয়মিত পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথাসময়ে পেয়েছেন। তারা আগের সরকারের ফিটলিস্টেও ছিলেন। এ ছাড়া এবার নারীরাও তুলনামূলক কম স্থান পেয়েছেন। ২৫ জনের মধ্যে নারী মাত্র তিনজন। এই তিন নারীর দু’জন বিগত দিনে বঞ্চিত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা দিতে ২৪, ২৫ ও ২৭তম বিসিএসের পাঁচ কর্মকর্তাকে সমন্বয়ক করা হয়েছিল। তারা হলেন– বিসিএস ২৪ ব্যাচের নুরজাহান খানম ও নজরুল ইসলাম, ২৫ ব্যাচের নুরুল করিম ভূঁইয়া ও ফরিদা খানম এবং ২৭ ব্যাচের সারোয়ার আলম। এই সমন্বয়কারীদের কাউকেও ডিসি করা হয়নি।

৫৯ জনের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফিটলিস্টে থাকা দুই মন্ত্রণালয় ও বিভাগের একজন কর্মকর্তাও পদায়ন থেকে বাদ পড়েননি। এ দুটি হলো স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে এককভাবে সর্বাধিক সাতজন ডিসি হয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে।

বঞ্চিত দাবি করা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সরকারের আমলে কোণঠাসা থাকা কর্মকর্তার বড় একটি অংশই এবার ডিসি হতে পারেননি। বিগত দিনে প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের বঞ্চিত থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে জসীম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, নূরজাহান খানম শান্তা, মাহবুব হোসেন, মনিরুজ্জামান, শাহীন ইসলাম, বদরুল আলম লিটন, সাইফুল হাসান রিপন ও রেবেকা খানকে ডিসি না করায় অবাক হয়েছেন ব্যাচমেট অনেকে। একইভাবে ২৫তম ব্যাচের নুরুল করিম ভূঁইয়া, ইয়ারুল ইসলাম, সেলিম আহমেদ, হাসান হাবিব, জয়নুল আবেদীন, মুস্তাফিজুর রহমান, সগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, নুরুল হাফিজ, তাহসীনা ইসলাম, আলীমুন রাজীব, এটিএম শরীফুল ইসলাম, মোতাকাব্বির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, মিনারা নাজনীন এ দফায়ও বঞ্চিত হলেন।

প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডিসিদের অনেকের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে, তা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। ঢাকার ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তানভীর আহমেদ সাবেক আইন সচিব আবু সালেহ মো. জহিরুল ইসলামের একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাজ্জাদুল ইসলাম শাহিনের নিকটাত্মীয়। বিগত সরকারের সময় অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দেওয়া ডিসি ফিটলিস্টে তানভীর আহমেদের নাম ছিল। ময়মনসিংহ জেলার ডিসি মফিদুল আলম চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পিএস ছিলেন।

ঝিনাইদহের ডিসি মো. আবদুল আওয়াল কমলনগর ও কুমিল্লায় ইউএনও থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। গত সরকারের সময় তৈরি করা ফিটলিস্টে তাঁর নাম ছিল। মাগুরার ডিসি মো. অহিদুল ইসলাম গত সরকারের সময় পাঁচ বছর মরিশাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কক্সবাজার জেলার ডিসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত সরকারের সময় তিনি মোটা বেতনে একটি প্রকল্পে লিয়েনে পোস্টিং নিয়েছিলেন।

নোয়াখালীর ডিসি খন্দকার ইসতিয়াক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তাঁর বাবা ও মামা গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি চারটি উপজেলায় এসিল্যান্ড ছিলেন। খুলনার ডিসি মো. সাইফুল ইসলাম ছাত্রলীগ নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারীর একান্ত সহচর ছিলেন। হবিগঞ্জে ইউএনও থাকাকালে তিনি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গত সরকারের সময় তিনি কলকাতা হাইকমিশনে উপহাইকশিনার হিসেবে কাজ করেছেন। বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তাঁর নাম ছিল।

গোপালগঞ্জের ডিসি মো. কামরুজ্জামান বিগত সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় সৌদি আরবে কনসাল জেনারেল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। রাজউকের পরিচালক ও হজ অফিসার হিসেবে পোস্টিং পেয়েছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তাঁর নাম ছিল। সিরাজগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ মনির হোসেন রাজউকের পরিচালক ছিলেন। তিনি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে শেয়ারবাজার কারসাজির অপকর্মে জড়িত এবং তাঁর শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জামালপুরের ডিসি হাসিনা বেগম ইউএনও হিসেবে নরসিংদীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাঁকে তৎকালীন ডিসি অনুপযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন।

ফরিদপুরের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লাহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মোমিনুর রহমানের ভাগনি জামাই। বর্তমান ঢাকার ডিসি তানভীর আহমেদের ভগ্নিপতি। পদোন্নতির পরপরই তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তাঁর নাম ছিল। শরীয়তপুরের ডিসি আবদুল আজিজ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছেন। পঞ্চগড়ের ডিসি মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিমের পিএস ছিলেন।

লালমনিরহাটের ডিসি রকিব হায়দার উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি একসময় মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম ছিল। নীলফামারীর ডিসি শরীফা হকের মাঠ প্রশাসনে মাত্র এক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিগত সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সমকালকে বলেন, তারা আমাদের ভুল তথ্য দিয়েছে কিংবা সঠিক তথ্য গোপন করেছে। আমরা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। যথেষ্ট সচেতন। তারপরও মানুষ হিসেবে ভুল হতেই পারে। কোথাও কোনো অনিয়ম থাকলে ধরিয়ে দেবেন, ব্যবস্থা নেব।

সিনিয়র সচিব বলেন, গণমাধ্যম ও এজেন্সির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা বুধবার আটজন ডিসির নিয়োগ বাতিল করেছি। এর আগে মঙ্গলবার একজন ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তারা কর্মস্থলে যোগদানের আগেই নিয়োগ বাতিল করা হলো। তাদের বিষয়ে নিয়োগ কমিটিতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। আমাদের মধ্যে দুষ্ট লোকের তো অভাব নেই। সূত্র : দৈনিক সমকাল

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে, তবে দেশে এখনো ক্রান্তিকাল বিদ্যমান: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও বাংলাদেশ এখনো ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে থাকা স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে যশোরে বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশের সংস্কার চায়। তবে শুধু শব্দ বা ভাষার পরিবর্তন নয়, এমন সংস্কার চাই যা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনবে। তিনি মনে করেন, মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংস্কারের পথ চলা থামানো উচিত নয়। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আর বিএনপি তার ৩১ দফার মাধ্যমে এ সংগ্রামে প্রতিটি নাগরিকের জন্য কাজ করছে।

তারেক রহমান প্রয়াত তরিকুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি সারাজীবন মা-মাটি-মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। নতুন প্রজন্মকে তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যারা রাজনীতিকে ব্যক্তিগত লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাদের পতন এ জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। তারেক আরো বলেন, ছাত্র-জনতার মহাবিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে, কিন্তু তাদের সহযোগী ও প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, ভুল বোঝাবুঝি দূর করে গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। কেবল সংবিধানের কিছু শব্দের পরিবর্তনে সংস্কার সম্ভব নয়, বরং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্যই বিএনপি এই ৩১ দফা প্রস্তাবনা সামনে এনেছে এবং দলটি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

তরিকুল ইসলামের আদর্শ ও ত্যাগের কথা স্মরণ করে তারেক বলেন, তিনি কখনো নিজের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে ও পরবর্তীতে ওয়ান-ইলেভেনের সময়েও তিনি কারাভোগ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তরিকুল ইসলামের সাথে কারাগারে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা স্মরণ করে তারেক বলেন, সেই সময় তিনি তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে অনেক সাহস পেয়েছিলেন।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যশোর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া মরহুম তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী ও বিএনপি নেত্রী নার্গিস বেগম এবং তাঁর দুই সন্তান শান্তুনু ইসলাম সুমিত ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি উপ-কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে রাবি ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৫ সালের ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল তারিখে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

১৪ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি কমিটির সভায় এই সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। ঐ সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়েছে।

Header Ad

আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক মাস যাবৎ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিম আক্তার ( ১৭) নামের এক গৃহবধুর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়াচ্ছিলেন হেলাল উদ্দিন সরদার নামের ( ২৭) এক যুবক।

আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ৪নভেম্বর (সোমবার ) রাতে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মিম আক্তার। পরে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায় মিম। মীম আক্তার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের আসাদুল প্রামানিক এর মেয়ে। আর অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদার একই এলাকার আঁকনা গ্রামের মকলেছুর রহমান সরদার এর ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আঁকনা গ্রামের মকলেছুর রহমান সরদারের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল উদ্দিন সরদার এর সাথে একই এলাকার মালশন গ্রামের আসাদুল প্রামানিক এর মেয়ে মিম আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৭মাসের মাথায় পারিবারিক কলহের জেরে গত ৭জুলাই দু’জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকেই হেলাল “মিম আক্তার” শিরোনামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে সেখানে মিমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করতে থাকে। শুধু ফেসবুকই নয় হোয়াইটস অ্যাপস সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মিমের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করে। এমনকি মিমের হোয়াইস আ্যপে এসব ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তাকে উত্যক্ত করে হেলাল । পরে মিম তার ব্যবহৃত ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনাটি পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে অভিমান করে সোমবার রাত ৮টার দিকে বিষ পান করে (পোকামাকড় নিধনের বিষ) আত্নহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায় মিম।

মিমের বাবা আসাদুল প্রামানিক বলেন, আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই হেলাল নানাভাবে বিরক্ত ও উত্যক্ত করে আসছিল। তার নামে ফেসবুক আইডি খুলে নানা রকম ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতো। আমার মেয়েকেও হোয়াইটস অ্যাপে সেসব দিয়ে ভয়ভূতি ও হুমকি দিয়ে বলতো তোর জীবন শেষ করে দিবো। এসব জানাজানি হলে আমার মেয়ে সবার অজান্তে ঘরে বিষ খায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটা মারা যায়। এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে আমার মেয়েকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। অপমান ও অভিমানে মেয়েটা আত্নহত্যা করেছে। হেলালসহ যারাই জড়িত থাক,তাদের সবার কঠিণ শাস্তি চাই। আমরা থানায় মামলা করবো।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের পরিবারের লোকজন। গ্রামের বাড়ি আঁকনাতে গিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল এর সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টাও তা সম্বব হয়নি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক নয়ন বলেন, মিম বিষ পান করার পর বেশ কয়েক ঘন্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদান করেছি। পরবর্তীতে রাজশাহী বা বগুড়া নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম। তবে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) তারিকুল ইসলাম বলেন, মালশন গ্রামের মিম আক্তার নামের একজন বিষপান করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থান মারা গেছেন। যেতেতু নওগাঁ সদর হাসপাতালে মারা গেছেন যার কারনে সদর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে, তবে দেশে এখনো ক্রান্তিকাল বিদ্যমান: তারেক রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
সম্মেলন শেষে ঢাবি পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে তাবলিগের সাথীরা
বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হলেন সালাহউদ্দিন
আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা