মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রোটেক্টিং চিলড্রেন ফ্রম টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারফেয়ারেন্স’। বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’ শিরোনামে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) প্রতিবছরের মতো এবারও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।

বর্তমানে পৃথিবীর ১২৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার মিলিয়ন হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয় এবং শীর্ষ তামাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ভুক্ত দেশ। অন্যদিকে, পৃথিবীব্যাপী উৎকৃষ্ট মানের জমি ক্রমবর্ধমানহারে তামাকচাষে ব্যবহৃত হওয়ায় খাদ্য ফসলের জমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এসব জমি খাদ্যফসল ফলানোর কাজে ব্যবহার করা গেলে লাখ লাখ মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তার সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।

বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ খুবই কম, মাত্র তিন কোটি ৭৬ লাখ সাত হাজার একর। অথচ তামাক চাষে ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। বিশ্বের মোট তামাকের এক দশমিক তিন শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে তামাকজনিত অসুস্থতায় প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। দেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় ও কর্মক্ষমতা হ্রাসের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে অতিরিক্ত যে লাভের কথা প্রচার করা হয়, তার প্রায় সবটাই বানোয়াট। আপাতদৃষ্টিতে তামাক চাষে বেশি আয় উপার্জন হলেও এই আয় থেকে পারিবারিক শ্রমের পারিতোষিক, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত নিজস্ব গাছের বা কাঠের দাম, পরিবেশের ক্ষতি, স্বাস্থ্য ব্যয় ইত্যাদি বাদ দিলে তামাক চাষে লাভের বদলে ক্ষতি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে নেট সোশ্যাল রিটার্ন ঋণাত্মক, প্রতি একরে ক্ষতি ৯১৬ দশমিক ১১ ডলার।

টোব্যাকো অ্যাটলাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৩১ শতাংশ বন নিধনের পেছনে তামাক চাষ দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় তামাকপাতা শুকানোর (কিউরিং) কাজে এক বছরেই প্রায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি কাঠ ব্যবহৃত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী অন্তত তিন কোটি ৭০ লাখ কিশোর-কিশোরী নিয়মিতভাবে তামাক ব্যবহার করে এবং যাদের নির্দিষ্ট ব্রান্ডে আসক্ত করতে কোম্পানিগুলো নানা ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে সুগন্ধিযুক্ত তামাকপণ্য বাজারজাতকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের তামাকপণ্য সহজলভ্য করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেলিব্রেটিদের ব্যবহার করা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান এবং শক্তিশালী আইন ও কর পদক্ষেপের বিরোধিতা করা অন্যতম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের (সিডিসি) গবেষণায় দেখা গেছে, ২১ বছর বয়সের আগেই যারা তামাকে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাদের মধ্যে নিকোটিন নির্ভরতা এবং আমৃত্যু তামাক ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

গ্লোবাল স্কুল-বেজড হেলথ সার্ভে, ২০১৪ (জিএসএইচএস) অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৯ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ-তরুণী এবং এরাই কোম্পানির মূল টার্গেট। আইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে এই প্রজন্মকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে।

Header Ad

দাড়ি-গোঁফ কেটে পালাচ্ছিলেন শ্যামল দত্ত-মোজাম্মেল বাবু

ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আস্ট ছাত্র-জনতার দেশ কাঁপানো অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এ ঘটনার পর অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। অনেক সময় চেহারায়ও পরিবর্তন এনেছেন। সোমবার ভোরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোজাম্মেল হক বাবু এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু দাড়ি-গোঁফ ছেঁটে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ময়মনসিংহ উপজেলার ধোবাউড়া থানায় আটক হন তারা।

সোমবার ভোরে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। বিকেলে থানা থেকে তাদের রাজধানীকে নিয়ে আসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল। এসময় তার লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতা ডিম নিক্ষেপ করে।

তাদের সঙ্গে আরও আটক হয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার জেমসন মাহাবুব ও প্রাইভেট কারের চালক সেলিম।

স্থানীয়রা জানায়, একটি প্রাইভেটকার রোববার গভীর রাত থেকে কখনো ঘোষবেড় দিয়ে সীমান্তের দিকে, কখনো ধোবাউড়া রোডের দর্শাপাড় এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ চক্কর দেয়। এ সময় স্থানীয়দের বিষয়টি সন্দেহ হলে উৎসুক জনতা প্রাইভেটকারটি আটক করে। পরে গাড়িতে থাকা লোকজনের পরিচয় জানতে চায়। মোজাম্মেল হোসেন বাবু গোঁফ ও শ্যামল দত্ত দাড়ি ছেঁটে ফেলায় প্রথমে তাদের কেউ চিনতে পারেনি। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে নিজেদের পরিচয় দেন। পরে তাদের মারধোর করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।

ধোবাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চান মিয়া বলেন, ধোবাউড়া সীমান্তে সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু, সিনিয়র রিপোর্টার জেমসন মাহবুব ও প্রাইভেটকার চালক সেলিমকে আটক করে দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকার ডিবি পুলিশের একটি টিম তাদের হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আটককৃতদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জড়িয়ে সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাসে তুলে দেওয়া হয়।

শ্যামল দত্ত দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মোজাম্মেল বাবু। এর আগে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ।

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোকসেদুর রহমান জানা জানান, সোমবার সঞ্জিত বিশ্বাস নামের ওই ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হয়। এর আগে রোববার কালি মন্দিরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন তারা।

৪৫ বছর বয়সী সঞ্জিত ভারতের নদীয়া জেলার নিশি কান্ত বিশ্বাসের ছেলে বলে জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতের কোন এক সময় ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা দেখে ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করে মন্দির কমিটি।

এ ঘটনার পর সোমবার বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি এম কুদরত-এ-খুদা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, “ঘটনা তদন্তের সময় কালি মন্দিরের সামনে দুজন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একজনকে স্থানীয়রা পরিচিত বলে শনাক্ত করেন।

“এ সময় অপর ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি একবার বাংলা এবং একবার হিন্দি ভাষায় কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দেন।”

এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি মোকসেদুর রহমান জানিয়েছেন।

সেই গোপন কক্ষ ‘গোপন’ ছিল না: মালা খান

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান। সম্প্রতি নিজের অফিসের ভেতরে বিশেষভাবে তৈরি গোপন কক্ষের জন্য আলোচনায় আসেন তিনি।

তবে মালা খান গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তার অফিসের আলোচিত গোপন কক্ষ আসলে গোপন ছিল না। এ বিষয়ে ওই অফিসের সবাই জানতেন।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা মহাব্বত (ঘাইনঞ্জানি) গ্রামের আবুল ফজল খানের মেয়ে মালা খান। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় লেখাপড়া করেন এবং বড় হন। তার চাচা গরু ব্যবসায়ী তোফাজ্জল খানের মাধ্যমে এলাকায় জমি ক্রয় ও গরু-ছাগল বেচাকেনা করতেন মালা খান। এলাকার কিছু লোককে সরকারি-বেসরকারি চাকরিও দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি তার অফিসে গোপন কক্ষ থাকার খবর দেখে অবাক হন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে অলোয়ার নিকলা মহাব্বত এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, বিআরআইসিএমের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খানের তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে কানাডায় পড়াশোনা করছেন। তার স্বামী মোস্তফা আনোয়ারও একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি দুই মেয়ের সঙ্গে কানাডায় বসবাস করছেন। তবে গুঞ্জন রয়েছে, স্বামী ও মেয়েদের জন্য কানাডায় বাড়ি কিনেছেন তিনি।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও ছাগলের খামার রয়েছে। ওই খামার পরিচালনা করতেন তার আপন ছোট ভাই। এছাড়া বসিলাতেই তার জায়গা ও বাসা রয়েছে। টাঙ্গাইলসহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাচা তোফাজ্জল খানের মাধ্যমে গরু ও ছাগল কিনে মোটাতাজা করা হতো খামারে। এরপর চাচা ও ঢাকার বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে সেগুলো খামারসহ টাঙ্গাইলে এনেও বিক্রি করা হতো।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর বসিলার ওই খামার থেকে অনেকেই গরু-ছাগল নিয়ে গেছেন। চাচার মাধ্যমে এলাকায় ৫৯ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি। মালা খান বিআরআইসিএমতে এলাকার বেশ কয়েকজনকে চাকরিও দিয়েছেন। তারা এখন সেখানে বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন।

মালা খানের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সনদ জালের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। “জালিয়াতির মালা গেঁথেছেন মালা খান” শিরোনামে ওই সংবাদে মালা খান জাল সনদ ও নিয়োগ পরীক্ষায় (লিখিত) সর্বনিম্ন নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়েও বেজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়- জালিয়াতির মাধ্যমে মালা খান অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। আর ওই পিএইচডি কোর্সের কো-সুপারভাইজার ছিলেন তার স্বামী মোস্তফা আনোয়ার। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের নেই কোনো অনুমোদন। ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি টাকার বিনিময়ে দিয়েছে পিএইচডির সনদ।

নিকলা এলাকার অনেকেই জানান, মালা খান এলাকার অনেককে চাকরি দিয়েছেন যারা বেকার ছিল। তবে টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন কিনা সেটা কেউ বলতে পারেননি। এছাড়া এলাকায় তার চাচা তোফাজ্জলকে টাকা-পয়সা দিয়ে সহায়তা করতেন। তার চাচা ভূঞাপুর শিয়ালকোল হাটের ইজারাদার। চাচাই এলাকায় তাকে জায়গা জমি কিনে দিয়েছেন।

বিআরআইসিএমে চাকরি পাওয়া অলোয়া ইউনিয়নের ঘাইনঞ্জানি গ্রামের সোহান বলেন, কেরাণীগঞ্জে জায়গা লিজ নিয়ে তার ভাই গরু ও ছাগলের খামার করেছেন বলে জেনেছি। তবে বসিলাতে ছিল কিনা জানি না। ৫ আগস্টের পরই অফিসের লোকজন যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের কাছেই চাবি ছিল অফিসের। যেখানে কোনো অবৈধ কার্যকলাপ ছিল না ম্যাডামের। বিআরআইসিএমের কার্যালয়ে গরু ও ছাগল নিয়ে আসা হতো বিক্রির জন্য। ঝামেলার কারণে খামার ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফলে গরু ও ছাগলগুলো অফিসে আনা হয়েছিল। সেখান থেকে আমি দুটি গরু ও দুটি রাম ছাগল নিয়েছি। ঢাকায় তার কোনো সম্পত্তি নেই। ম্যাডাম তার বাবা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে কোয়ার্টারে থাকতেন। ।

মালা খানের চাচা তোফাজ্জল খান বলেন, মালা খানের ঘটনাটি দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমার ভাতিজি একজন সৎ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। অফিসের লোকজন তার বিরুদ্ধে লেগেছে। তার অফিসে আয়নাঘর থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। তার ভাইয়ের খামার ছিল বসিলাতে। আন্দোলনের আগে এক ট্রাক গরু এনে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেছি। এলাকায় কিছু জায়গা কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে ওই জমি আমি কিনে নিয়েছি।

চাচা তোফাজ্জল খানের মুঠোফোনে কথা হয় বিআরআইসিএমের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। ৫ আগস্টের পর অফিসে যাইনি কয়েকদিন। এর মধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, মিথ্যা ঘটনা তৈরি করেছে। তারা মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। মিথ্যা ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আইনগত কোনো কিছুই করতে পারব না।

মালা খান বলেন, সরকার পতনের পর কয়েকদিন অফিস করেছি। আগে থেকেই ওই কক্ষের বিষয়ে জানত অফিসের লোকজন। কিন্তু এখন সেটি ‘গোপন কক্ষ’ নাম দিয়ে প্রচার করছে। মূলত আমাকে অপদস্ত করার জন্য এমন নাটক সাজিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

দাড়ি-গোঁফ কেটে পালাচ্ছিলেন শ্যামল দত্ত-মোজাম্মেল বাবু
ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
সেই গোপন কক্ষ ‘গোপন’ ছিল না: মালা খান
‘আপনার স্বামী আর্মিতে, আমার স্ত্রীও ডাক্তার’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ১৪টি দাবি তুলে ধরলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
শত্রুরা জানে জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না: ডা. শফিকুর রহমান
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার
নওগাঁয় ১৪মণ অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
দায়িত্ব ছাড়ার পর উপদেষ্টাদের সম্পদ একটুও বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে কুপিয়েছে ছাত্রদল নেতা
রাতেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন সাবেক মুখ্যসচিব কায়কাউস !
সৈয়দপুর রেল কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরি
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা, নৌকা ডুবে নিহত ৮
ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান
সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলেন আশফাক নিপুণ
হারিয়ে যাওয়া ২০০ একর জমি বাংলাদেশকে ফেরত দিতে সম্মত ভারত
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডে থাকছেন যারা
নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী সংস্কার হবে: মির্জা ফখরুল
১০০ কোটি নয় কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে লাগছে ১ কোটি টাকারও কম
অবশেষে মিলল শেখ হাসিনার পদত্যাগের চিঠি