মোদির সফর বিরোধিতায় তাণ্ডব
নয়মাসে শেষ হয়নি একটি মামলারও তদন্ত
মোদি সফরের বিরোধিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরোধিতা করে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছিল রাজধানীতে। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়েছিল সেই সহিংসতা। মামলা হয়েছিল ১৫৪টি। প্রায় নয়মাস কেটে গেছে। শেষ হয়নি একটি মামলারও তদন্ত।
এরমধ্যেই বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণ দোরগড়ায়। এবার অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাই অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতায় নেমে এ বছরের ছাব্বিশে মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় তাণ্ডবে মেতে ওঠে হেফাজতে ইসলাম। সেই সহিংসতা ছড়ায় ঢাকার বাইরেও। ঝরে যায় ঊনিশ জনের প্রাণ, আহত হয় পাঁচ শতাধিক মানুষ।
মার্চের সহিংসতায় ১৫৪টি মামলায় এক লাখের বেশি আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয় প্রায় ১৩ শ জন। জামিনে বেরিয়েছে পাঁচ শতাধিক। এরইমধ্যে প্রায় নয় মাস কেটে গেলেও একটি মামলারও তদন্তের সুরাহা হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, শুধু হেফাজতই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা এই সময়ের বিশৃঙ্খলায় অংশ নিয়েছিল তাদের নামেও আমরা চার্জশিট দেব। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। অচিরেই এই মামলাগুলোর তদন্ত কাজ শেষ হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাণ্ডবের দগদগে স্মৃতির মধ্যেই বিজয়ের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে জাতি। অতিথি হয়ে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এবারও কি ভারত বিরোধিতার নামে রাজপথে নামতে পারে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটি?
মো. ফারুক হোসেন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, সামনে ১৬ই ডিসেম্বর। এই সময়ে অতিথিদের আগমনকে কেন্দ্র করে যারাই দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। কঠোর হাতে তাদের আমরা দমন করব। অনুষ্ঠান চলার সময় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। সে অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
এনএইচ/টিটি