মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ

এই দিনে মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

ফাইল ছবি

আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৷ ৭ই মার্চের সেই ভাষণেরই সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ । ৫০ বছরেও ১৮ মিনিটের সেই ভাষণের আবেদন এতটুকু কমেনি৷

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর এই ভাষণ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সেই ভাষণের পূর্ণ বিবরণ।

আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে।

আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কী অন্যায় করেছিলাম, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করব এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর–নারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম।

তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো। আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি, শুধু বাংলার নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাঁকে অনুরোধ করলাম, ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসব। আমি বললাম, অ্যাসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করব; এমনকি আমি এ পর্যন্ত বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।

জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন। বলে গেলেন যে আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরও আলোচনা হবে। তারপর অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করলাম, আপনারা আসুন বসুন, আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসেন, তাহলে কসাইখানা হবে অ্যাসেম্বলি। তিনি বললেন, যে যাবে তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হবে। যদি কেউ অ্যাসেম্বলিতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। আমি বললাম, অ্যাসেম্বলি চলবে। তারপর হঠাৎ ১ তারিখে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো।

ইয়াহিয়া খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসাবে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে, আমি যাব। ভুট্টো সাহেব বললেন, তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এখানে আসলেন। তারপরে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হলো। দোষ দেওয়া হলো বাংলার মানুষকে, দোষ দেওয়া হলো আমাকে। বন্দুকের মুখে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠল।

আমি বললাম, শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম, আপনারা কলকারখানা সবকিছু বন্ধ করে দেন। জনগণ সাড়া দিল। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো।

কী পেলাম আমরা? যে আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরিব-দুঃখী আর্ত মানুষের বিরুদ্ধে, তার বুকের উপর হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু। আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তাঁকে আমি বলেছিলাম, জনাব ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপরে, আমার বাংলার মানুষের উপরে গুলি করা হয়েছে, কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে। আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তিনি বললেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ডাকব।

আমি বলেছি, কিসের বৈঠক বসবে, কার সঙ্গে বসব? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, তাদের সঙ্গে বসব? হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে পাঁচ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন, সমস্ত দোষ তিনি আমার উপরে দিয়েছেন, বাংলার মানুষের উপর দিয়েছেন।

ভাইয়েরা আমার, ২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে ওই শহীদের রক্তের উপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না। অ্যাসেম্বলি কল করেছে। আমার দাবি মানতে হবে: প্রথম, সামরিক আইন মার্শাল ল উইথ ড্র করতে হবে, সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে, আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে । তারপর বিবেচনা করে দেখব, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসতে পারব কি পারব না। এর পূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না।

আমি, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই যে আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে, সেগুলির হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা, গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে; শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি গভর্নমেণ্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোনো কিছু চলবে না।

২৮ তারিখে কর্মচারীরা বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি বেতন দেওয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে, এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।

আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করব। যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকাপয়সা পৌঁছিয়ে দেবেন। আর এই সাত দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাঁদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন। সরকারি কর্মচারীদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো, কেউ দেবে না। মনে রাখবেন, শত্রুবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটপাট করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে, তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়। মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারীরা, যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনেন, তাহলে কোনো বাঙালি রেডিও স্টেশনে যাবেন না। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোনো বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র নিবার পারে। কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না। টেলিফোন টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ব বাংলায় চলবে এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে চালাবেন। কিন্তু যদি এ দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালিরা বুঝে–শুনে কাজ করবেন। প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

জয় বাংলা।

সূত্র: বাংলাপিডিয়া, খণ্ড ১৩, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি

Header Ad
Header Ad

অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি, স্কুলছাত্রী গ্রেফতার

ভূঞাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও বিভিন্ন জনের ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি। তারপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে গ্রুপ বানিয়ে সেখানে পোস্ট করে লাখ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক স্কুলছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারকৃত স্কুলছাত্রীকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে পৌর শহরের পূর্ব ভূঞাপুর নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে অসামাজিক ভিডিও তৈরি করে একাধিক মেসেঞ্জার গ্রুপ করে সেখানে পোস্ট করা হয়। পরে পোস্ট করা ভিডিওর সাথে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

সম্প্রতি ‘দিলরুবা’ ও রাকিবুল ইসলাম’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। পরে গ্রুপে অসামাজিক ভিডিও দেওয়া হয়। পরে ফেসবুক, গুগল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইডিগুলো ব্যবহারকারী শনাক্ত করা হয়।

এসব কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতারকৃত স্কুলছাত্রীর স্মার্ট মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জব্দ করা ফোনে এসব পোস্ট ও ভিডিও’ ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে স্কুলছাত্রী জানায়, আমার ছবি ব্যবহার করে অসামাজিক ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মির্জাপুরের সীমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সাথে কাজের সাথে আমি জড়িত না, সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।

স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলোতে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এ ঘটনা। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও গত রবিবার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এটার সাথে আমার মেয়ে জড়িত না।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল দিয়ে। লোক-লজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এই ঘটনায় একজন ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এতে গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তদন্তে আইডির ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার, কেজি ৫৬ টাকা

ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার। ছবি: ঢাকা প্রকাশ

ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা কেজিতে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা।

এদিকে গতকাল সোমবার ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চালের প্রথম চালান ৫ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল এনেছে খাদ্য অধিদপ্তর।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরের ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চালের প্রথম চালান ৫ হাজার ৭৫০ টন বাংলাদেশে এসেছে। এ চাল নিয়ে এমভি ফু থানহ ৩৬ জাহাজটি মংলা বন্দরে ভিড়েছে।

জাহাজে থাকা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে উল্লেখ করে ইমদাদ ইসলাম বলেন, দ্রুতই জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল এমভি এসডিআর ইউনিভার্স।

Header Ad
Header Ad

শপথ নেয়ার পর যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে সই করেছেন তিনি, যা সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত:

ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর প্রথমেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, এক বছরের মধ্যে আমেরিকা সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাবে এবং অর্থ সাহায্য বন্ধ করবে। ট্রাম্পের অভিযোগ, WHO স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না এবং কিছু সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা:

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তে সই করেছেন, যা কার্যকর হতে এক বছর সময় নিবে।

ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা:

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা ট্রাম্প সমর্থকদের জন্য একটি বড় ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়ে তাদের সব মামলার বিরুদ্ধে অস্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নেন এবং দেড় হাজারের বেশি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্তে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে।

মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা:

মেক্সিকো সীমান্তে নতুন একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প, যা তাকে সেনা পাঠানোর এবং সীমান্তে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দিবে। তিনি আরও একটি সিদ্ধান্তে বলেছেন, মেক্সিকোর মাদক পাচারকারীদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত:

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের আইন পরিবর্তনের বিষয়ে একটি নির্দেশে সই করেছেন। যদিও এটি সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা অধিকার, এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।

টিকটক নিষেধাজ্ঞা স্থগিত:

টিকটক নিয়ে একসময় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প, তবে নতুন সিদ্ধান্তে সই করার পর তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিন স্থগিত থাকবে এবং বিক্রি বা বন্ধের সিদ্ধান্ত আরও সময় নিয়ে নেয়া হবে।

অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো:

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি জাতীয় স্তরে নতুন কর্মী নিয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছেন এবং সরকারি কর্মীদের জন্য "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" নয়, অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি, স্কুলছাত্রী গ্রেফতার
ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার, কেজি ৫৬ টাকা
শপথ নেয়ার পর যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প
হতাশ হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম: তাসকিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ
ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল