দুর্নীতির কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয় না: প্রধানমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
বুধবার জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে জবাবে তিনি একথা বলেন।
সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেবল আইন প্রয়োগ ও শাস্তির মাধ্যমে দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি মূলোৎপাটন করা হবে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটেছে : নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটেছে। তাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি জ্বালানি, প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদাও ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ফলে গ্যাস চাহিদার সরবরাহ সামঞ্জস্যপূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় তিনি জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
১৫ বছরে ৯৪৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ : আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার রেলপথ বিভাগ থেকে মোট ৯৯টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অর্থাৎ মোট ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। এছাড়া রূপকল্প ২০৪১ অর্জনসহ ৩০ বছর মেয়াদি রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে রেলওয়ে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ, গেজ একীভূতকরণ, আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের প্রবর্তন, সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগের উন্নয়ন, আপগ্রেডেড লোকোমোটিভ প্রবর্তন এবং বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন প্রবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিহারি ক্যাম্পে আবাসিক ফ্ল্যাট : সিদ্দিকুল আলমের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিহারি ক্যাম্পে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনকল্পে ও তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় উপযোগী প্রতীয়মান হলে সরকারি অর্থায়নে বা অনুদানে পরিকল্পিত বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা যেতে পারে।