ঘোষণা ছাড়াই গ্যাসের মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করলো তিতাস!
ছবি সংগৃহীত
কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হুট করে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার অভিযোগ উঠেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, চলতি জানুয়ারি মাসে হুট করেই গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের ভাড়া হিসেবে ১০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা কেটে নিচ্ছে তিতাস। দোকানে কার্ড রিচার্জ করতে গেলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে খোঁজ নেব।
অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির এই সময়ে দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির বাজারে মিটার ভাড়া বাবদ বাড়তি অর্থ কেটে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। তারা বলছেন, বাড়তি এ খরচ সমন্বয় করতে হিমশিম খাবে নিম্ন আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাসের অপচয় রোধ ও গ্রাহকের খরচ কমাতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাইকার সহায়তায় ২০১১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। পরে ২০১৭ সালে বাসাবাড়িতে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সে সময় প্রিপেইড মিটার ভাড়া ছিল ৬০ টাকা। ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৬০ থেকে ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এডিবি ও জাইকার অর্থায়নে দুটি প্রকল্পে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ চলমান। জাইকার অর্থায়নে বসানো হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার এবং এডিবির অর্থায়নে আট হাজার ৬০০ মিটার। দুই সংস্থার অধীনে আরও ১২ লাখ মিটার স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।
আর বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে তিতাসের তিন লাখ ২৮ হাজার ৬০০টি প্রিপেইড মিটার রয়েছে। জানুয়ারির আগে প্রতি মাসে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা মিটার ভাড়া চার্জ হিসেবে আদায় করা হতো। নতুন নিয়মে গ্রাহকদের থেকে আরও সমপরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। মিটার ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ছয় কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় হবে।
গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, এটার এখতিয়ার তাদের নেই। এটা অবৈধ। সরকার কেন তাদের অপকর্ম করতে দিচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এটা ভয়ংকর অপরাধ করছে তারা।