দ্বিতীয় দফায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা
ছবি: সংগৃহীত
আবারও দ্বিতীয় দফায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এ স্মার্টকার্ড পেতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা আবেদন করবেন তাদের আগে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ওই নির্দেশনায় তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, রকিবুদ্দিন কমিশন ১ লাখ ৮৩ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এই স্মার্টকার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনেন তারা। তবে কোনো আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করার লক্ষ্যে মর্যাদাপূর্ণ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে তুলে দেয়া হয়।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে প্রথম ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড দেয়া হয়। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকেও এই বিশেষ কার্ড দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ডে তিন স্তর বিশিষ্ট ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা গেলেও দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ যন্ত্র। অন্যদিকে ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্ট এর মাধ্যমে শেষ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা হয়ে থাকে।