রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকার ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা রেলপথ নিয়ে নতুন প্রস্তাব রেলের

ভাঙা-বরিশাল-কুয়াকাটা রেলপথ। ছবি:সংগৃহিত

বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে দুটি অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প চলমান। এর একটি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যার আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ। অন্যদিকে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। রেলপথ দুটির কোনোটিই এখনো বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যেতে পারেনি। তাছাড়া প্রকল্পগুলো অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভজনক হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই নতুন করে আরেকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল ও পায়রা বন্দর হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।

অর্থনীতির চলমান সংকটকালে প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি না, তা যাচাই করে দেখছে পরিকল্পনা কমিশন। দেশের অর্থনীতিবিদ ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, এই মুহূর্তে এমন একটি রেলপথ নির্মাণের প্রয়োজন নেই।

জানা গেছে, মেগা প্রকল্পটির ওপর একটি প্রাক-উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (পিডিপিপি) এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত দীর্ঘ ২১৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণকাল ধরা হয়েছে ২০২২-২৯ সাল পর্যন্ত। পিডিপিপিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যা ব্যয় হবে তার ৩২ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা নেয়া হবে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে। বাকি ৯ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈদেশিক সহায়তার সম্ভাব্য উৎস হিসেবে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিএইচইসি) এবং চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশনের (সিআরডিসি) নাম উল্লেখ করা হয়েছে পিডিপিপিতে।

ভাঙ্গা-পায়রা রেলপথ নির্মাণে ২০১৬-১৮ সালে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বাস্তবায়ন করে রেলওয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার দোহা, স্পেনের টিপসা ও বাংলাদেশের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিডিসির জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান দিয়ে করানো এ সমীক্ষায় রেলের ব্যয় হয় ৪৩ কোটি টাকা। সমীক্ষায় বলা হয়, অর্থনৈতিকভাবে প্রকল্পটি অনেক মূল্যবান এবং এটি হবে একটি আকাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ। প্রকল্পটির ইকোনমিক ইন্টারনাল রেট অব রিটার্ন (ইআইআরআর) ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশনে থাকা প্রকল্পটির পিডিপিপি যাচাই-বাছাইরের পর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পায়রা বন্দর এখনো পুরোদমে চালু হয়নি। আর ফরিদপুর-বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করার একটি প্রকল্প চলমান। তাই এখনই রেলের এ প্রকল্পের কতটা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে চলমান সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি হলো ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’। এটি নির্মাণে সরকারের খরচ হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২৬৭ কোটি ডলার বা ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এক্সিম ব্যাংক অব চায়না। প্রিফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) মাধ্যমে নেয়া এ ঋণের সুদহার ২ শতাংশ। গ্রেস পিরিয়ড ছয় বছর। রিপেমেন্ট পিরিয়ড ২০ বছর। ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে ২০২৫ সাল থেকে। সুদসহ প্রতি বছর গড়ে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বা প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এদিকে রেলপথটির ঢাকা-ভাঙ্গা অংশ আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের কথা রয়েছে। যদিও পুরো প্রকল্পটি শেষ করতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় চেয়েছে রেলওয়ে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি ১৭০ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন পরিচালনা করে সরকারের যে পরিমাণ অর্থ আয় হবে, প্রকল্পটির জন্য গ্রহণ করা ঋণের কিস্তির তুলনায় তা নগণ্য। এর ফলে বাড়বে ঋণ-জিডিপির অনুপাত, যা এক সময় বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তারা বলছেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পর রেলপথটি ‘আন্ডার ইউটিলাইজড’ থাকার একটা সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ রেলপথটি খুব বেশি ব্যবহৃত হবে না বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৮ হাজার কোটি টাকায় বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথটি আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে এ রেলপথের অর্থনৈতিক সুফল নিয়েও শঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যদিও বলছেন, দেশের সব জেলাকে রেলের আওতায় আনতে সরকারের প্রণীত মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ভাঙ্গা-পায়রা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটার পর্যটক, বন্দর ব্যবহারকারী এবং আশপাশের সব জেলার মানুষ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে রেলের উন্নয়ন করে যাচ্ছে। রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বড় বড় সেতু নির্মাণের মতো কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ভাঙ্গা-পায়রা রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগও এসব কার্যক্রমের অংশ।’ প্রকল্পটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন রেলপথমন্ত্রী।

 

 

 

Header Ad
Header Ad

ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাংক এবং এডিবি’র কাছ থেকে বাজেট সহায়তার ১.১ বিলিয়ন (১,১০০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবি ৬০০ মিলিয়ন ডলারের দুটি বাজেট সাপোর্ট সহায়তা অনুমোদন করেছে। এই বাজেট সহায়তা চলতি মাসেই পাওয়া যাবে।

এতে বলা হয়, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তাও অনুমোদন করেছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে শক্তিশালীকরণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং শাসন কার্যক্রম, উপপ্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মসূচিটি প্রণয়ন করা হয়।

বিশ্বব্যাংক গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অনুকূলে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমগুলো সফলভাবে অর্জন করায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় বিশ্বব্যাংক এ বাজেট সহায়তা প্রদান করে।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অর্থনীতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব দিনদিন বাড়ছে। এ কারণেই আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে। এটা এখন সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু করতে চায় সরকার।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএসএসে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে পুনরায় সংযোগ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস ও ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিকস (আইডিই-জেট্রো)।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চল অর্থনীতি ও ভূ-কৌশলগত কারণে ফোকাল পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে। এটা এখন সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর যেন সহযোগিতার কেন্দ্রে পরিণত হয় আমরা সেই চেষ্টা করছি, যাতে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কেন্দ্র না হয়।

উপদেষ্টা বলেন, গত সাত বছরের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গাদের অধিকারসহ নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে না পারলে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর এলাকা গড়ে তোলার জন্য স্থিতিশীলতা দরকার। এজন্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সব অংশীজনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনিরো বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর দিয়ে এই অঞ্চলে কানেক্টিভিটি আরও জোরদার হবে আশা করি। এই কানেক্টিভিটি জোরদারে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া থাকা দরকার।

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফএম গাওসুল আজম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত রেল সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলকে সংযোগকারী এই রেল সেতুর নাম ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতু’ পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘যমুনা রেল সেতু’।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এ তথ্য জানান।

রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, যমুনা নদীতে নির্মিত রেল সেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না। এটি এখন যমুনা রেল সেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেল সেতু উদ্বোধন করা হতে পারে।

আফজাল হোসেন জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা।

এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

এদিকে, বিকেলে রেল সেতুর প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম জানান, পূর্বের নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেল সেতু নামকরণ ও দুই রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের নাম ইব্রাহীমাবাদ ও পশ্চিম প্রান্তের নাম সয়দাবাদ নামকরণ করেছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।

এর আগে, গত শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর নবনির্মিত ইব্রাহীমাবাদ সেতু পূর্ব ও সেতু পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ আধুনিক রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসেন রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম। পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যমুনা রেল সেতু আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে, ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে।

এসব সমস্যা সমাধানে বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ওই বছর ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।

প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরবর্তীতে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ