দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক
দুবাইয়ে অবস্থানরত ৪৫৯ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুদক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি অর্থ পাচারের মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্পদ ক্রয় করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পাশাপাশি দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির জমি-বাড়ি থাকার বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) তদন্ত করতে বলা হয়। এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
গত ১০ জানুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রোপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ জন বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রোপার্টি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।
বিভিন্ন সূত্র থেকে আরও জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ গত বছরের মে মাসে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশগুলোতে মূলত পাচার করা অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি তুলে ধরলে এটা সামনে আসে। তথ্য লুকিয়ে ৪৫৯ জন বাংলাদেশি দুবাইয়ে মোট ৯৭২টি আবাসন সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ জন্য তারা ব্যয় করেছেন ৩১৫ মিলিয়ন ডলার। এ সব সম্পদের মধ্যে ৬৪টি দুবাইয়ের অভিজাত এলাকা দুবাই মেরিনা ও ১৯টি পাম জুমেইরাহতে অবস্থিত।
যেখানে অন্তত ১০০টি ভিলা ও কমপক্ষে ৫টি ভবনের মালিক বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। চার থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক। যদিও প্রতিবেদনে কারো নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
কেএম/আরএ/