র্যাব নিয়ে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) নিয়ে জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ দাবি করেন।
প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সেহেলী সাবরীন বলেন, র্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয় না। প্রতিবেদনটিতে র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে এই এলিট বাহিনীকে ব্যবহার করছেন এমন অভিযোগও তোলা হয় যার সবই ভুয়া।
প্রতিবেদনে বেশিরভাগ তথ্যই পুরোনো এবং সেকেলে দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, নিজস্ব অনুসন্ধানের এ প্রতিবেদনটি অসঙ্গত এবং অভিযোগগুলো অসত্য।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের ‘ডেথ স্কোয়াডের’ ভেতরের কথা শীর্ষক একটি ডকুমেন্টরি প্রচার করে ডয়চে ভেলে। নেত্র নিউজের সঙ্গে যৌথভাবে অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করে তারা।
এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের সংগঠিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে নতুন করে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। দুইজন হুইসেলব্লোয়ার দাবি করেছেন যে উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে এই অভিজাত বাহিনীকে ব্যবহার করছেন।
এই প্রথমবারের মতো র্যাবের দুইজন সাবেক কমান্ডার, নিরাপত্তার কারণে যাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে, বিশেষ পুলিশ বাহিনীটি হত্যা, নির্যাতন এবং গুমের মতো ঘটনা কীভাবে ঘটাচ্ছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। ডয়েচে ভেলে এবং নেত্র নিউজ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং তাদের প্রকৃত পরিচয় যাচাই করেছে। দুই হুইসেলব্লোয়ারের একজন র্যাবকে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
আরইউ/এসজি