১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা চায় সংসদীয় কমিটি
ঢাকা: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা ও পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে সংসদীয় কমিটি। এজন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মুন সিনেমা হল এর উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়ে। সেখানে কমিটির সদস্যরা অনেকটা হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন রাষ্ট্রের চাইতে মুন সিনেমা হল এর মালিক বড় না। সে রাষ্ট্রের কোনো সিদ্ধান্তকেই তোয়াক্কা করে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া জেলা উপজেলা পর্যায়ে যেসকল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রয়েছে তার বেশ কিছু কমপ্লেক্স উপজেলা শহর থেকে দুর্গম এলাকায়, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়তের ভালো ব্যবস্থা নেই। কারা কিভাবে এই সাইড নির্বাচন করলো তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি-বঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিষয়টি সহানুভুতির সহিত বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রামের আগ্রবাদে অবস্থিত ‘জয় বাংলা’ টাওয়ার ও ‘টাওয়ার ৭১’ কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বৈঠকে জানানো হয়।
‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’ নির্মানে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া মুন সিনেমা হলের সাথে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি হচ্ছে কি-না তা পরিদর্শনপূর্বক পরবর্তী করণীয় নির্ধারনে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমাদানের লক্ষ্যে বৈঠকে কাজী ফিরোজ রশীদকে আহবায়ক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার স্থান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যান্য স্থানগুলোকে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।