দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেয়।
ঢাকার তুরাগের দিয়াবাড়ী দক্ষিণ এলাকায় হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।
১৯৮৯ সালে অলাভজনক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ ট্রাস্ট সামাজিক ব্যবসাকে ব্যবহার করে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) মোছা. রোখছানা বেগম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, “২২টি শর্তে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমোদন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন-চার মাস আগে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস পরির্দশন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল।
ইউজিসির ওয়েবসাইটে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, এতদিন দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ১১৫টি। তার সঙ্গে যুক্ত হল আরো একটি। এর মধ্যে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গত নভেম্বর মাসে সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমোদন দিয়ে পাঠানো চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সাময়িক অনুমোদনের মেয়াদ হবে সাত বছর, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়কে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর সব বিধান ও শর্ত মেনে চলতে হবে।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে। ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং এসব অনুষদের অধীন কমপক্ষে ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিলে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।