বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ | ৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।

এ বিষয়ে বিশ্বের ৪০ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন৷

রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই খোলাচিঠি দিয়েছেন মঙ্গলবার। চিঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পূর্ণ পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে৷

বিভিন্ন ৪০ বিশ্বনেতার মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব৷

ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে৷ চিঠিতে লেখা হয়েছে: ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি, যারা আপনার দেশের জনগণের সাহস ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করে ৷ আমাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সমাজসেবক আছেন ৷ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও সারা বিশ্বে গৃহীত উদ্ভাবনগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত৷ আপনার দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখছি৷’

খোলা চিঠিতে আরও বলা হয়: ‘ড. ইউনূসের ভালো থাকা, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মানবিক উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখে চলছেন, তা অব্যাহত রাখতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে৷ আমরা নিশ্চিত, আপনি জানেন যে বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান, বিশেষ করে অতিদরিদ্র ও সবচেয়ে বিপদাপন্ন মানুষের জন্য তাঁর অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সম্মানিত৷ ‘উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের সাত ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন৷ এই সাতজনের মধ্যে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা ও এলি উইজেলের মতো ব্যক্তিরা আছেন৷’

চিঠিতে লেখা আছে: ‘মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকম বা গ্রামীণফোন থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হননি বরং তিনি যেসব সংগঠন গড়ে তুলেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন৷ তিনি ঢাকায় সাদামাটাভাবে বসবাস করছেন৷ মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন অনবদ্য পরিশুদ্ধ মানুষ ও তার কার্যক্রমগুলো আপনার সরকারের অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে৷ বারবার হয়রানি ও তদন্তের মধ্যে পড়ছে৷ এমনটা দেখতে পাওয়া বেদনাদায়ক৷ আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে চিরায়ত ও সামাজিক উদ্যোক্তারা প্রস্ফুটিত হতে পারেন৷ আমরা আশা করি, টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিতে কীভাবে একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে লালন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি মডেল হিসেবে বাংলাদেশ তার ভূমিকায় ফিরে আসবে৷ এ ক্ষেত্রে প্রথম একটি ভালো উদ্যোগ হওয়া উচিত, অধ্যাপক ইউনূসের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া৷ তাকে নিজ নিরাপত্তায় ব্যস্ত রাখার পরিবর্তে দেশ ও বিশ্বের জন্য আরও ভালো কিছু করতে তাঁর শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়া৷ আমরা ও বিশ্বের কোটি মানুষ আশা করি, আপনি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন ৷’

বিশ্বনেতাদের অন্যতম হলেন-যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজি ও রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এর প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির পুত্র (সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া) টেড কেনেডি জুনিয়র, যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডস সদস্য ব্যারোনেস হেলেনা কেনেডি; আমেরিকাম মানবাধিকারকর্মী ও লেখক স্যাম ডেলি-হেরিস যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের সাবেক সিনেটর ডোনাল্ড রিগ্যাল, বিশ্বখ্যাত আইরিশ রক তারকা এবং মানবাধিকারকর্মী বোনো, বৃটিশ বিলিয়নিয়ার ও ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্রানসন, জাতিসংঘের সাবেক উপমহাসচিব, ও ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস এর চেয়ারম্যান, বৃটিশ কূটনীতিক লর্ড জর্জ মার্ক মালোক ব্রাউন, জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব কুল চন্দ্র গৌতম, হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস প্রমুখ।

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি

ঈদযাত্রার দিন থেকে কর্মবিরতির হুমকি রেলওয়ের গেটকিপারদের

রেলভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি আদায়ে আগামী ২৪ মার্চ থেকে একযোগে রেলপথ অবরোধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের গেটকিপার ও গেটম্যানরা। ঈদযাত্রা শুরুর দিন থেকেই তারা এই কর্মসূচি শুরু করবেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রেলভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে এই হুমকি দেওয়া হয়। সমাবেশে রেলওয়ের কর্মচারীরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ঘরমুখো মানুষ ২৪ মার্চ থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু করবেন। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সেদিন থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত গেটকিপার/গেটম্যানরা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রেলভবনের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তারা। বিক্ষোভকারীরা জানান, গেটকিপার/গেটম্যানরা দাবি আদায়ে গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেলসচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি, প্রশাসনের সব অ্যাডমিন ক্যাডার, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব/পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের দেড় হাজার গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিসহ শ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেদিন রেলওয়ের মহাপরিচালক সিদ্ধান্ত দেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের এক হাজার ৫০৫ জন গেটকিপার ও গেটম্যানের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসঙ্গত।

বৈঠকে গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানান, তারা যেহেতু দীর্ঘ আট বছর রেলওয়েতে চাকরি করে অভিজ্ঞ, এ বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে।

মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘গত বছরের ১ নভেম্বর আমাদের অফার লেটার হাতে দেয়ার কথা থাকলেও এখনও দেয়া হয়নি। বৈঠকে আমাদের বলা হয়, স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে পরীক্ষায় পাস করে এক হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যান পদে যোগদান করেন। বর্তমানে কর্মরত এক হাজার ৫০৫ জন। আপনারা আট বছরের অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসও দেন।’

গেটকিপার/গেটম্যানরা বলেন, ‘বারবার এ রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন কোনো দাবি তুলছি না। ১৬০ বছরেরও অধিক সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি মোতাবেক যে কোনো কর্মচারী তিন বছরের অধিক নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তাদের চাকরি সরাসরি স্থায়ীকরণ করা যায়। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি অনুযায়ী প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যানদের চাকরি রাজস্ব করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই।’

Header Ad
Header Ad

রোজা রেখেই স্পেনের হয়ে খেলবেন লামিনে ইয়ামাল

লামিনে ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান। এই সময়ে অনেক মুসলিম খেলোয়াড় রোজা রেখে মাঠে খেলতে নামেন, কিছু সময় বিরতি নিয়ে ইফতার করে রোজা ভাঙেন। স্প্যানিশ ফুটবল প্রতিভা লামিনে ইয়ামালও এমন এক রোজাদার খেলোয়াড়।

সম্প্রতি বেনফিকার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস লিগে রোজা রেখে মাঠে নামেন ইয়ামাল। বার্সেলোনার এই তরুণ তারকা ওই ম্যাচে এক গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট করেন। খেলা চলাকালীন তিনি ইফতারও করেছিলেন। এবার, তিনি প্রথমবারের মতো স্পেন জাতীয় দলের হয়ে রোজা রেখে খেলবেন।

লামিনে ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত

এবারের ইউয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বৃহস্পতিবার রাতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবেন ইয়ামাল। রোববার ফিরে নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগ হবে। ইয়ামাল স্পেনের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রোজা রেখে এ ম্যাচে অংশ নেবেন। এর আগেই তিনি জাতীয় দলের অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন।

গত বছর ইয়ামাল স্পেনের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন, তবে সেসময় রোজা রাখেননি। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোজা রেখে খেলবেন, বিশেষ করে তার পৈতৃক পরিবারের সম্মানে। স্পেনে জন্ম হলেও তার বাবা মুনির নাসরাউয়ি একজন মরোক্কান মুসলিম।

এটি প্রথমবার নয় যে, ইয়ামাল স্পেনের জাতীয় দলের কোনো মুসলিম খেলোয়াড়। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি এবং মুনির এল হাদ্দাদি ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবে ত্রাওরে এবং ফাতি রমজান মাসে কোনো ম্যাচে অংশ নেননি, আর মুনির ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে একমাত্র ম্যাচটি খেলেছিলেন, তবে সে সময় রমজান ছিল না।

স্পেনের মুসলিম জনগণের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। রমজান মাসে তারা অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন। ইয়ামাল জানিয়েছেন, রোজা রেখে খেলতে তার কোনো সমস্যা হয় না এবং তিনি শরীরের পানিশূন্যতা এড়াতে খুব সতর্ক থাকেন।

Header Ad
Header Ad

‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন

গ্রামীণ ট্রাস্ট ভবন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেয়।

ঢাকার তুরাগের দিয়াবাড়ী দক্ষিণ এলাকায় হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।

১৯৮৯ সালে অলাভজনক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ ট্রাস্ট সামাজিক ব্যবসাকে ব্যবহার করে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) মোছা. রোখছানা বেগম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, “২২টি শর্তে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমোদন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন-চার মাস আগে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস পরির্দশন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল।

ইউজিসির ওয়েবসাইটে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, এতদিন দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ১১৫টি। তার সঙ্গে যুক্ত হল আরো একটি। এর মধ্যে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গত নভেম্বর মাসে সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমোদন দিয়ে পাঠানো চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সাময়িক অনুমোদনের মেয়াদ হবে সাত বছর, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়কে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর সব বিধান ও শর্ত মেনে চলতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে। ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং এসব অনুষদের অধীন কমপক্ষে ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিলে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদযাত্রার দিন থেকে কর্মবিরতির হুমকি রেলওয়ের গেটকিপারদের
রোজা রেখেই স্পেনের হয়ে খেলবেন লামিনে ইয়ামাল
‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন
বাদুড়ের শরীরে মিলল নতুন ভাইরাস, ঝুঁকি এখনও অজানা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল
স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন স্বামীও
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, বোরকা পরে পালানোর সময় আটক শাহ্ আলম
১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
বগুড়ার সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
‘কেবল শুরু’ বলে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের সতর্কবার্তা দিলেন নেতানিয়াহু  
২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চারে একাই ৪০৪ রান করলেন মুস্তাকিম  
পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে  
ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত    
তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করলো ডাকাতদল  
খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণকে গণপিটুনি, পুলিশের ওপর হামলা
সোনার দাম ফের বাড়ল
চুয়াডাঙ্গায় শিশু খাদ্য, কাপড় ও কসমেটিক্সের দোকান মালিককে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ৬ সদস্য নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার
আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক: ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি