মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন।

‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে এমন ঘোষণায় সেদিন প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল পুরো বাংলাদেশ। মুক্তিপাগল লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বাঙালির এই মহান নেতা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীকালে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এ ছাড়া, এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝরা ভাষণে মুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের ভিত রচিত হয়। তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পতপত করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে।

সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি লাখো জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।

এরপর তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম...এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তী বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এবং সেদিনের সেই জনসমুদ্রে উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চারদফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাঁদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করবো, তারা আমাকে নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে। তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়। এটি সব জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিকনির্দেশনা।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি, স্কুলছাত্রী গ্রেফতার

ভূঞাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও বিভিন্ন জনের ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি। তারপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে গ্রুপ বানিয়ে সেখানে পোস্ট করে লাখ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক স্কুলছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারকৃত স্কুলছাত্রীকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে পৌর শহরের পূর্ব ভূঞাপুর নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে অসামাজিক ভিডিও তৈরি করে একাধিক মেসেঞ্জার গ্রুপ করে সেখানে পোস্ট করা হয়। পরে পোস্ট করা ভিডিওর সাথে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

সম্প্রতি ‘দিলরুবা’ ও রাকিবুল ইসলাম’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। পরে গ্রুপে অসামাজিক ভিডিও দেওয়া হয়। পরে ফেসবুক, গুগল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইডিগুলো ব্যবহারকারী শনাক্ত করা হয়।

এসব কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতারকৃত স্কুলছাত্রীর স্মার্ট মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জব্দ করা ফোনে এসব পোস্ট ও ভিডিও’ ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে স্কুলছাত্রী জানায়, আমার ছবি ব্যবহার করে অসামাজিক ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মির্জাপুরের সীমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সাথে কাজের সাথে আমি জড়িত না, সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।

স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলোতে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এ ঘটনা। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও গত রবিবার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এটার সাথে আমার মেয়ে জড়িত না।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল দিয়ে। লোক-লজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এই ঘটনায় একজন ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এতে গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তদন্তে আইডির ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার, কেজি ৫৬ টাকা

ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার। ছবি: ঢাকা প্রকাশ

ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা কেজিতে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা।

এদিকে গতকাল সোমবার ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চালের প্রথম চালান ৫ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল এনেছে খাদ্য অধিদপ্তর।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরের ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চালের প্রথম চালান ৫ হাজার ৭৫০ টন বাংলাদেশে এসেছে। এ চাল নিয়ে এমভি ফু থানহ ৩৬ জাহাজটি মংলা বন্দরে ভিড়েছে।

জাহাজে থাকা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে উল্লেখ করে ইমদাদ ইসলাম বলেন, দ্রুতই জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল এমভি এসডিআর ইউনিভার্স।

Header Ad
Header Ad

শপথ নেয়ার পর যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে সই করেছেন তিনি, যা সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত:

ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর প্রথমেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, এক বছরের মধ্যে আমেরিকা সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাবে এবং অর্থ সাহায্য বন্ধ করবে। ট্রাম্পের অভিযোগ, WHO স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না এবং কিছু সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা:

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তে সই করেছেন, যা কার্যকর হতে এক বছর সময় নিবে।

ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা:

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা ট্রাম্প সমর্থকদের জন্য একটি বড় ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়ে তাদের সব মামলার বিরুদ্ধে অস্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নেন এবং দেড় হাজারের বেশি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্তে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে।

মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা:

মেক্সিকো সীমান্তে নতুন একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প, যা তাকে সেনা পাঠানোর এবং সীমান্তে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দিবে। তিনি আরও একটি সিদ্ধান্তে বলেছেন, মেক্সিকোর মাদক পাচারকারীদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত:

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের আইন পরিবর্তনের বিষয়ে একটি নির্দেশে সই করেছেন। যদিও এটি সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা অধিকার, এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।

টিকটক নিষেধাজ্ঞা স্থগিত:

টিকটক নিয়ে একসময় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প, তবে নতুন সিদ্ধান্তে সই করার পর তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিন স্থগিত থাকবে এবং বিক্রি বা বন্ধের সিদ্ধান্ত আরও সময় নিয়ে নেয়া হবে।

অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো:

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি জাতীয় স্তরে নতুন কর্মী নিয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছেন এবং সরকারি কর্মীদের জন্য "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" নয়, অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি, স্কুলছাত্রী গ্রেফতার
ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার, কেজি ৫৬ টাকা
শপথ নেয়ার পর যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প
হতাশ হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম: তাসকিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ
ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল