১ মার্চ থেকে আবারও বাড়ছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ছে। এই বর্ধিত দাম ১ মার্চ (বুধবার) থেকেই কার্যকর হবে। আর এ দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে চলতি সপ্তাহেই।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, এবার দাম বাড়বে ৫ শতাংশ। প্রায় প্রতি মাসেই দাম ‘সমন্বয়’ করা হবে। এভাবে মাসে মাসে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটা নিয়ম অনুসরণ করা হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানি করে দাম বাড়ায়। কিন্তু গতবারের মতো এবারও বিইআরসি’কে পাশ কাটিয়েই দাম বাড়ানো হচ্ছে।
দাম বাড়ানোর অনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলে তা হবে গত ১৪ বছরে ১২তম বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি। এবার দাম বাড়ানো হলে মার্চ মাসের বর্ধিত বিল এপ্রিল থেকে দিতে হবে গ্রাহকদের।
সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি ৫ শতাংশ খুচরা এবং পাইকারি পর্যায়ে ৮ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সরকার। তারও মাত্র ১৮ দিন আগে গত ১২ জানুয়ারি খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল।এবার দাম বাড়ানো হলে গত দুই মাসের ব্যবধানের খুচরা পর্যায়ে তিন দফা বিদ্যুতের দাম বাড়বে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলের পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে বাজারে পণ্য মূল্যও বেড়ে যাবে। ফলে আবারও সাধারণ মানুষের নতুন করে খরচের বোঝা বাড়বে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিক্রির মধ্যে ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হবে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হলেও তারা লোকসানে থাকবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ধরনের উপকরণ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চরম অস্থিতিশীল জ্বালানির বাজার। তা ছাড়া, আইএমএফের পরামর্শ রয়েছে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার। ডলার সংকটে চাহিদা অনুযায়ী তেল, গ্যাস, কয়লা আমদানি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
আরইউ/এমএমএ/
