শনিবার রাতে জানা যাবে জাওয়াদের গতিপথ

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে আসবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে।
শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, ঝড়টি এখনো সাগরে থাকলেও বিকেলের দিকে গতিপথ বদলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হলে কিছুটা বাংলাদেশের দিকেও এগোতে পারে। ফলে ভারতের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হলেও কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকছে। এখনো গভীরভাবে ঝড়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শনিবার রাতের দিকে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এটি উড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের দিকেও এগোতে পারে, আবার গতিপথ পরিবর্তনও করে বাংলাদেশেও পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এর মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী দুইদিন এ বৃষ্টিপাত চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ভারতের উড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলেও, গতিপথ পরিবর্তন করে সেটি বাংলাদেশের দিকে আসে কি না, সেজন্য পর্যবেক্ষণ করছেন বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদেরা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থার (ইএসসিএপি) তালিকা অনুযায়ী, এ ঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব। আরবি শব্দ জাওয়াদ অর্থ উদার, দয়ালও কিংবা দানশীল।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ বর্তমানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে রয়েছে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। বর্তমানে ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঝড়টি এখন উড়িশা উপকূল ধরে পুরীর দিকে এগোচ্ছে। তবে সেটি আস্তে আস্তে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদেরা।
তারা জানান, উড়িশা উপকূল ধরে এ ঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তখন সেটি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। কেন্দ্রে ঝড়টি ঘণ্টায় নয় কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কেন্দ্রের বাইরে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ৭০-৮০ কিলোমিটার।
আবহাওয়াবিদেরা জানান, এটা খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তারা বলছেন। তবে ঝড়টি এখনো খানিকটা পূর্ব দিকে ঘুরছে। সেটা যদি আবার গভীর সাগরে চলে আসে, তাহলে সেটা আরও শক্তি সঞ্চার করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আবার ভূমিতে উঠে এলে তখন ঝড়টি ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ভূমিতে আঘাত করার পর তার প্রভাবে অন্তত দুইদিন ধরে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এসএন
