বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

সবার জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তার সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সবাই যেন আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা পায় এজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি তৃতীয় ধাপে ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এতে দেশে মোট কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের সংখ্যা হলো ১৩৫টি।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ভোলার চরফ্যাশন, বরগুনার আমতলী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের পেকুয়ার কমিউনিটি ভিশন কেন্দ্রগুলো ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিল। সেখানে তিনি উপকারভোগীদের সঙ্গে পরে মত বিনিময়ও করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে বাশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয়ও উদ্বোধন করেন এবং এই কার্যালয়টি তার দলের নীতি ও আদর্শ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, তিনি এর আগে দুই ধাপে ৯০টি কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন এবং সকল মানুষকে বিনামূল্যে আধুনিক ও উন্নত চক্ষু চিকিৎসার আওতায় আনার জন্য পর্যায়ক্রমে সারাদেশে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে তার সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা তৃণমূলে মানুষের দোর গোড়ায় চোখের মেডিকেয়ার পরিষেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই অন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি জাতি হিসাবে আমাদের জন্য বড় অর্জন কারণ, অনেক মানুষ অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’
স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সকল বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা তার সরকারের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে (ডিএমসি) ৫ হাজার শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা তার সরকারের রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মানোন্নয়ন সংক্রান্ত কাজ এখনো শুরু করতে পারিনি। আশা করছি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এর আগে ৯০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার খুলেছিলেন যা বিনামূল্যে আধুনিক ও উন্নত চোখের চিকিৎসা প্রদান করে দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
নতুন চালু হওয়া কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০টি, রাজশাহী বিভাগে চারটি এবং খুলনা বিভাগে একটি রয়েছে।
কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত ১৩,৩১,৫৭৭ ব্যক্তি চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ২, ১০, ৮৬৮ জন কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে চশমা পেয়েছেন।
আরএ/
