র্যাবের নিষেধাজ্ঞা অচিরেই উঠবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সফররত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর কথায় র্যাবকে নিয়ে হতাশা কেটেছে। তিনি আশা করছেন, এই এলিট ফোর্সের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অচিরেই উঠে যাবে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর লু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কিছু না বললেও র্যাবের প্রশংসা করে বলেছিলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমাতে র্যাবের কাজের ‘অসামান্য অগ্রগতি’ তাদের নজরে এসেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (মার্কিন প্রতিনিধিদল) বলেছেন, তোমরা যেভাবে যাচ্ছ, একটা সঠিক পথে যাচ্ছ। তোমরা যেভাবে চলছ, এটা যেন চলমান থাকে, তোমাদের ল’ইয়ার ভালো ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, হয়তো খুব শিগগির নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। আমরা আশা করছি, এটা খুব অচিরেই শেষ হবে।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবসহ এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের তাতে সাড়া দেয়নি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার হবে। তবে সে প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। তারা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হয়, সেটা প্রত্যাহারের সময় কতগুলো ধাপ পার হতে হয়। সে প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। তবে তারা বলেছে, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলছে সেটা উত্তরণ হবে এবং নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার হবে। এটাই তাদের বক্তব্য ছিল।
তিনি বলেন, আমি বলেছি, আমরা সঠিক কাজ করছি। র্যাব ভালো কাজ করছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সেটা সব সময় বলব। কাজেই তাদের চোখে যেটা পড়েছে, সেটার জন্য তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন তারা বলছে, আমরা যেভাবে আবেদন করেছি, সেটা সঠিক আছে। উনি আমাদের কোনো প্রেসার দিতে বা কিছু আরোপ করতে আসেননি। বরং বলেছে, র্যাব ভালো করছে, আমরা সঠিক পথে আছি। এভাবে চললে তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে দেখেশুনেই দেবে বলে তিনি (ডোনাল্ড লু) আমাদের আভাস দিয়ে গেছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বন্ধ হোক, সেটা আমেরিকার সরকার চায় না। তারা বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চায়। তারা চায় এদেশের মানবাধিকার যেন আরও উপরে থাকে। আমি তাদেরকে বলেছি, অতীতে আমরা কীভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস এগুলো মোকাবিলা করেছি। তারা এটার প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন সুন্দরভাবে এসব বিষয় মোকাবিলা করেছেন।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগেই আমাদের সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে যায়। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকারের সবকিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা মন্ত্রীরা শুধু অফিস ওয়ার্ক করি, তেমন করণীয় কিছু থাকে না। তারা চায়, এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কেউ যেন সহিংসতায় লিপ্ত না হয়। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিরোধী দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা আমাদের প্রশংসা করেছেন যে, আমরা বিএনপিকে বিভিন্ন জনসভা করতে দিচ্ছি এজন্য। তবে সমাবেশের নামে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, রাস্তায় ব্যারিকেড- এসব বিষয় আমেরিকার সরকার সমর্থন করে না।
এনএইচবি/এসজি
