রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এনআইডি পৃথিবীর সবদেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) কার্যক্রমটি নির্বাহী বিভাগের অধীনে হওয়া উচিৎ। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীনে হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি নির্বাহী বিভাগের অধীনে হওয়া উচিত। এ কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জনান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। লিখিত জবাবে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী জানান, ভোটার হওয়া ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

আসাদুজ্জামান খান জানান, ২০০৭ সালে একটি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির জন্য সেনাবাহিনীর অধীনে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রমটি শুরু হয়। এটি ছিল সাময়িক পদক্ষেপ। তবে এখন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমের ব্যাপ্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কার্যক্রম শুধুমাত্র ভোটার বা ১৮ বছরের বেশি নাগরিকের জন্য নয়, বরং সব নাগরিকের জন্য প্রাসঙ্গিক। এছাড়া ব্যাংক হিসাব খোলা, চাকরির আবেদন, ইউটিলিটি সংযোগ, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন বিভিন্ন ভাতার আবেদন, খাস জমিপ্রাপ্তির আবেদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে ভোটার হওয়ার বিষয় মাত্র একটি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি আরো জানান, ওষুধ মানুষের জীবন রক্ষাকারী একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন দেশের আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান যাতে নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণন করতে না পারে সে লক্ষ্যে ওষুধ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।

একই দলের সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদকের বিস্তার রোধসহ মাদকাসক্ত ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাসহ চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধ করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, মাদক সংক্রান্তে গোয়েন্দা তথ্য/অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদকাসক্ত ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। থানা এলাকায় টহল ডিউটি জোরদার করা হয়েছে এবং কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, চুরি, ছিনতাই রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল এবং চেকপোস্ট ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত আছে চুরি, ছিনতাই ও মাদক পরিবহন বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে; মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনপূর্বক তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি আরো জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করে জননিরাপত্তা নিশ্চিন্তে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে মাদকের বিস্তার রোধকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খল বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে চুরি, ছিনতাই, মাদক ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে দেশের অগ্রগতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে কোন ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িকতাবাদ, জঙ্গিবাদ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে দৃঢ় অবস্থান ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি আরো জানান, ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং-এর মাধ্যমে দেশ ও সরকার বিভিন্ন বিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করতে এনটিএমসি-তে ওপেন সোর্স ইনটেলিজেন্স টেকনোলজি (ওএসআইটি) এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে এবং একটি ইনটিগ্রেটেড সিস্টেম লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস) চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা

চুয়াডাঙ্গার কোষাঘাটায় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও এগ্রি ট্যুরিজম  হবে গো গ্রীন সেন্টার। 

শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার কোষাঘাটায় অবস্থিত গো গ্রীন সেন্টারে কৃষক, নীতিনির্ধারক, সরকারী কর্মকর্তা ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের সভায় এই উদ্যোগের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথী মিত্র, দামুড়হুদা উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) দেবাশীষ কুমার দাস। 

অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মানিক আকবর, জেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, দর্শনা থানা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বুলেট। 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্থার উপ-পরিচালক জহির রায়হান। প্রকল্পের বিস্তারিত ধারণা ব্যাখ্যা করেন সহকারী পরিচালক নির্মল দাস, এবং ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির সামগ্রিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক নাজমা সুলতানা লিলি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাজিবুল ইসলাম সজিব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংস্থার গো গ্রীন সেন্টারের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।

Header Ad
Header Ad

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে। আজ রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের যে ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হলো। তিনি আরও বলেন, “আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে এই বার্তা গেল যে, আপনি যত শক্তিশালীই হন না কেন, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই।”

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর পুনরায় শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আবরার ফাহাদের মৃত্যু প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছে যে, “ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে।”

Header Ad
Header Ad

কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত সরকার নতুন সংশোধনী অনুযায়ী প্রায় ৪২ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, যা দেশটির জন্য নীতিগতভাবে বড় পরিবর্তন। ডিসেম্বরে পাশ করা সংশোধনী অনুযায়ী, নৈতিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকি, বা আমির ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার কারণে নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে।

৮৪ বছর বয়সী আমির মিলাশ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবহ-এর শাসনামলে কুয়েতে গণতন্ত্রকে সীমিত করে কর্তৃত্ববাদী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি গত বছরের মে মাসে সংসদ স্থগিত করেন এবং সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেন। তার মতে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা কুয়েতকে পঙ্গু করে রেখেছে।

নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে বাতিলকৃত নাগরিকদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ৬ মার্চ একদিনেই ৪৬৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে অবৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অভিযোগে এবং ৪৫১ জনকে জালিয়াতি ও প্রতারণার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

কুয়েত দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না। তাই নাগরিকত্ব অর্জনকারীদের তাদের আগের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। এতে বিশেষ করে কুয়েতি নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়া নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা এখন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে রাষ্ট্রবিহীন অবস্থায় পড়েছেন।

কুয়েতি গবেষক ক্লেয়ার বেউগ্রা বলেন, "এই পদক্ষেপগুলোর গতি এবং আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কুয়েতের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। সরকার এলোমেলোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।"

সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে।

কুয়েতে এমন একাধিক নাগরিকত্বহীন জনগোষ্ঠী রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘বিডুন’ সম্প্রদায়। তারা বেশিরভাগই যাযাবর গোত্রের বংশধর, যারা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা কুয়েতি নাগরিক। তারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকারের বাইরে রয়ে গেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কুয়েতি নাগরিকই ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, কারণ নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি তাদের জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা
আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা
দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন অস্কারজয়ী শিল্পী এ.আর.রহমান
৬ হাজার কোটির লিগ আনছে সৌদি, চ্যালেঞ্জের মুখে আইপিএল
৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা
ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ, রংপুরের সেই উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার
আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব
বই ছাপার কাজ শেষ, আজ রাতেই শুরু হবে বিতরণ  
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
কার জন্য 'সতর্কবার্তা' দিলেন পরীমণি
ঈদে বাড়ি ফিরতে ২৬শে মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলবে আজ  
৬৬ দিনে ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা পান্নুর, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ  
ঈদের পরই দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  
জামালপুরে ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক  
টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের লজ্জার রেকর্ড    
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া