রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মন্ত্রিসভা বৈঠক

বিইআরসি আইনের খসড়া অনুমোদন

সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয় করার ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) (সংশোধন) আইন-২০২৩ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হলে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নিজেরাও এগুলোর দাম বাড়াতে-কমাতে পারবে। তবে আইনটি আগে অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছে সরকার। এখন সেটি সংসদে পাশের জন্য পাঠানো হবে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বিইআরসি ৯০ দিন সময় নিয়ে নির্ধারণ করে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারও যেন তা নির্ধারণ করতে পারে এজন্যই প্রস্তাবিত এ সংশোধনী মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই এটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। ওই সময় জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলমান না থাকায় আইনে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এখন সংসদের অধিবেশন চালু রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সংসদে উত্থাপন করার জন্য মন্ত্রিসভায় আইনটি অনুমোদন করে নেওয়া হলো।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা

চুয়াডাঙ্গার কোষাঘাটায় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও এগ্রি ট্যুরিজম  হবে গো গ্রীন সেন্টার। 

শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার কোষাঘাটায় অবস্থিত গো গ্রীন সেন্টারে কৃষক, নীতিনির্ধারক, সরকারী কর্মকর্তা ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের সভায় এই উদ্যোগের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথী মিত্র, দামুড়হুদা উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) দেবাশীষ কুমার দাস। 

অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মানিক আকবর, জেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, দর্শনা থানা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বুলেট। 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্থার উপ-পরিচালক জহির রায়হান। প্রকল্পের বিস্তারিত ধারণা ব্যাখ্যা করেন সহকারী পরিচালক নির্মল দাস, এবং ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির সামগ্রিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক নাজমা সুলতানা লিলি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাজিবুল ইসলাম সজিব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংস্থার গো গ্রীন সেন্টারের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।

Header Ad
Header Ad

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে। আজ রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের যে ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হলো। তিনি আরও বলেন, “আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে এই বার্তা গেল যে, আপনি যত শক্তিশালীই হন না কেন, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই।”

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর পুনরায় শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আবরার ফাহাদের মৃত্যু প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছে যে, “ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে।”

Header Ad
Header Ad

কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত সরকার নতুন সংশোধনী অনুযায়ী প্রায় ৪২ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, যা দেশটির জন্য নীতিগতভাবে বড় পরিবর্তন। ডিসেম্বরে পাশ করা সংশোধনী অনুযায়ী, নৈতিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকি, বা আমির ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার কারণে নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে।

৮৪ বছর বয়সী আমির মিলাশ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবহ-এর শাসনামলে কুয়েতে গণতন্ত্রকে সীমিত করে কর্তৃত্ববাদী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি গত বছরের মে মাসে সংসদ স্থগিত করেন এবং সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেন। তার মতে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা কুয়েতকে পঙ্গু করে রেখেছে।

নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে বাতিলকৃত নাগরিকদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ৬ মার্চ একদিনেই ৪৬৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে অবৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অভিযোগে এবং ৪৫১ জনকে জালিয়াতি ও প্রতারণার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

কুয়েত দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না। তাই নাগরিকত্ব অর্জনকারীদের তাদের আগের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। এতে বিশেষ করে কুয়েতি নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়া নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা এখন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে রাষ্ট্রবিহীন অবস্থায় পড়েছেন।

কুয়েতি গবেষক ক্লেয়ার বেউগ্রা বলেন, "এই পদক্ষেপগুলোর গতি এবং আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কুয়েতের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। সরকার এলোমেলোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।"

সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে।

কুয়েতে এমন একাধিক নাগরিকত্বহীন জনগোষ্ঠী রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘বিডুন’ সম্প্রদায়। তারা বেশিরভাগই যাযাবর গোত্রের বংশধর, যারা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা কুয়েতি নাগরিক। তারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকারের বাইরে রয়ে গেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কুয়েতি নাগরিকই ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, কারণ নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি তাদের জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা
আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা
দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন অস্কারজয়ী শিল্পী এ.আর.রহমান
৬ হাজার কোটির লিগ আনছে সৌদি, চ্যালেঞ্জের মুখে আইপিএল
৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা
ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ, রংপুরের সেই উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার
আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব
বই ছাপার কাজ শেষ, আজ রাতেই শুরু হবে বিতরণ  
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
কার জন্য 'সতর্কবার্তা' দিলেন পরীমণি
ঈদে বাড়ি ফিরতে ২৬শে মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলবে আজ  
৬৬ দিনে ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা পান্নুর, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ  
ঈদের পরই দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  
জামালপুরে ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক  
টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের লজ্জার রেকর্ড    
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া