রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

২০২২ ছিল চ্যালেঞ্জের বছর, সংসদে রাষ্ট্রপতি

দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালি জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ অতিবাহিত করছি। ২০২২ সাল আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বছর ছিল।’

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতির আগমণের ঘোষণা দিলে সশস্ত্র বাহিনীর একটি বাদক দল বিউগলে ‘ফ্যানফেয়ার’ বাজিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানকে সম্ভাষণ জানান। অধিবেশন কক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রবেশে পর নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

সংসদে রাষ্ট্রপতির জন্য স্পিকারের ডান পাশে লাল রঙের গদি সম্বলিত চেয়ার রাখা হয়। স্পিকারের অনুরোধের পর রাষ্ট্রপতি তার লিখিত ভাষণের সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন। এ সময় তার মূল বক্তব্য পঠিত বলে গণ্য করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানান আবদুল হামিদ। তিনি স্পিকারের আসনের বাম পাশে রাখা ‘রোস্ট্রামে’ দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে একটি রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করেছি। এ দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু মহান জাতীয় সংসদ। তাই জনপ্রতিনিধিদের জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’
দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মমর্যাদাশীল বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আবদুল হামিদ বলেন, ২০২২ সাল আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের একটি বছর ছিল। আমরা জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ অতিবাহিত করছি। সমগ্র বিশ্বই পার করছে এক কঠিন সময়। করোনা মহামারি আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করে অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হলেও রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সেই অগ্রযাত্রাকে শ্লথ করেছে। অর্থনীতিতে এসব সমস্যার পরও চলতি অর্থবছরের বাজেট আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সামগ্রিক বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইতিবাচক। মাথাপিছু জাতীয় আয় পূর্ববর্তী অর্থবছর থেকে ২৩৩ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে গতিশীলতা ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, সরকার ঘোষিত এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার কৃষি, গার্মেন্টসসহ ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের সরাসরি উপকারভোগী প্রায় ৭ কোটি ৩২ লাখ ব্যক্তি ও প্রায় ২ লাখ প্রতিষ্ঠান। সরকার কর্তৃক কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিগত অর্থবছরে মোট ১৫ হাজার ১৭২ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা ভর্তুকি এবং ৩৯ হাজার কোটি টাকা সরল সুদে কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বিশেষ প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মধ্যে ৫০০ কোটি টাকার বীজ, সার এবং কীটনাশক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’-স্লোগান নিয়ে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ৫০ লাখ ১০ হাজারের অধিক নিম্নআয়ের পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল এবং ২৪ টাকা দরে ৫ কেজি আটা বিতরণ করছে। খোলা বাজারে খাদ্য বিক্রয় (ওএমএস) চালু আছে।

এ ছাড়া, সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল, চিনি ও মসুর ডাল সরবরাহ করছে। তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত রয়েছে এবং বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ১৪ লাখ টন, যা সন্তোষজনক। এ ছাড়া এবারে দেশব্যাপী আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্লান প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’-এর আওতায় ৬৪টি জেলায় প্রায় ৫ হাজার ২৬৩ কিলোমিটার নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখননের কাজ চলছে। ফলে ১০৯টি ছোটো নদী, ৫৩৩টি খাল ও ২৬টি জলাশয় পুনরুজ্জীবিত হবে। এ ছাড়া, প্রধান প্রধান নদীসমূহে ড্রেজিং ও নদী ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য প্রদান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ৬টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম উড়াল মেট্রো ট্রেন চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি এমআরটি’র মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শ্লোগান বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ১০০ ভাগে উন্নীত হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ২০২২ সালে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা অর্জনের মাধ্যমে নারীরা দেশের জন্য এক অনন্যসাধারণ গৌরব বয়ে এনেছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে এক কোটি ১০ লাখ গ্রামীণ নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। সকল নারী উদ্যোক্তাকে ই-কমার্সে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ‘লালসবুজ ডটকম’ এবং ‘ইজয়িতা’ চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না'; এ লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৫টি পরিবারের প্রায় ৩৫ লাখ গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন, জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বর্বর হত্যাকাণ্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে শাহাদত বরণ করেছিলেন তার সহধর্মিণী মহীয়সী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত।

রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তিন আসামি হলেন– এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। রায়ের পরপরই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা এবং রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) আবেদন করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত অক্টোবরে এই মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব। ছবি: সংগৃহীত

চার দিনের সফর শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ঢাকা ছেড়েছেন। রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে।

এক বার্তায় বলা হয়, গুতেরেসকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান ও রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান। এছাড়া ঢাকা ছাড়ার আগে জাতিসংঘ মহাসচিব ফোনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী আলাপ সারেন।

চার দিনের সরকারি সফরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা আসেন আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি শুক্রবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করেন। গুতেরেস শনিবার সকালে গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন। দুপুরে ঐকমত্য কমিশন এবং পরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করেন বৈঠক। বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আসেন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে। এরপর ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়ে ঢাকার কর্মসূচি শেষ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

 

Header Ad
Header Ad

বই ছাপার কাজ শেষ, আজ রাতেই শুরু হবে বিতরণ  

ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পাঠানোর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নির্ধারিত সময়সীমা আজ (১৬ মার্চ) শেষ হচ্ছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন।

রোববার (১৬ মার্চ) রাত থেকেই পরিবহনগুলো বই নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম প্রাথমিক স্তরের বই ২২ দিনে এবং মাধ্যমিক স্তরের বই ৪২ দিনের মধ্যে ছাপানো হয়েছে। টেন্ডার, সংশোধন ও পরিমার্জনের কারণে বই পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হলেও মঙ্গলবারের (১৮ মার্চ) মধ্যে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বোর্ডের সব বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বই বাঁধাইয়ের কাগজ মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতে দুর্বল ছাপাখানার সক্ষমতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

রাজধানীর বিভিন্ন ছাপাখানায় বই ছাপানোর কাজ এখনো পুরোদমে চলছে। ছাপাখানার কর্মীরা জানান, এবছর কাজের সময় অনেক কম ছিল। প্রাথমিক স্তরের বই ছাপার জন্য মাত্র ২২ দিন, যেখানে মাধ্যমিক স্তরের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ৪২ দিন, যা আগে ছিল ৯৮ দিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব
বই ছাপার কাজ শেষ, আজ রাতেই শুরু হবে বিতরণ  
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
কার জন্য 'সতর্কবার্তা' দিলেন পরীমণি
ঈদে বাড়ি ফিরতে ২৬শে মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলবে আজ  
৬৬ দিনে ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা পান্নুর, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ  
ঈদের পরই দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  
জামালপুরে ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক  
টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের লজ্জার রেকর্ড    
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
হেলিকপ্টারে মাগুরা যাওয়ায় সমালোচনা, সারজিস বললেন ‘সিট খালি ছিল’
নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করলেন চীনা প্রতিনিধি দল
দেশে ঈদ কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস
ফেনীতে শিশুকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়: মির্জা আব্বাস
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
হঠাৎ গাড়িতে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পারশা মাহজাবীন
বাংলাদেশি ২৪ জেলেকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি