‘মেট্রোরেল চালাতে বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে না’

মেট্রো প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ট্রেনিং অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাস্তবায়িত হওয়ার পর নতুন ১২ হাজার গ্র্যাজুয়েট ও মাঠ প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে। যেটা বেকারত্ব শুধু দূর না, আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। ফলে মেট্রোরেলের নেটওয়ার্ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে না। আমরা নিজেরাই সব পরিচালনা করতে পারব।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে। এ যাত্রায় দেশের মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা সহযোগিতা না করলে পদ্মা সেতু হতো না, মেট্রোরেল হতো না।
তিনি বলেন, আজকে প্রথম ফেস উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেছি। বাকি কাজ শেষে মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করব। মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। এটি প্রথম দেশের বৈদ্যুতিক রেল, দূর নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হবে। এটির সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এটি পরিবেশবান্ধব, তাই যুগোপযোগী একটি যান হবে মেট্রোরেল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলাম ঢাকার যানজট নিরসনে কাজ করব। আজকে মেট্রোরেল সেই মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আরও কাজ চলছে, সমীক্ষা চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মেট্রোরেলে নারীদের জন্য আলাদা কোচ থাকবে, প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য সুব্যবস্থা থাকবে, শিশুদের পরিচর্যার ব্যবস্থা থাকবে মায়েদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা পয়সায় ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এসময় মেট্রোরেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনারা সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেজন্য জনগণ ও ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জাতির পিতার অনেক স্বপ্ন ছিল এই দেশকে ঘিরে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ২১ বছর পর আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানি পরামর্শকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মেট্রোরেলে নিহতদের স্মরণ রাখতে তাদের নামফলক রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো কাজ করতে হলে সাহসের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অগ্রগামী। ২১ সালে সুর্বণজয়ন্তীতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। মর্যাদা ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সেই দল যাকে নিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের উন্নতি হয়, অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটা আজকে প্রমাণিত।
এমএইচ/এসজি
