চোর নয় আমরা বীরের জাতি: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি আনন্দের দিন। রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বপ্ন পূরণের দিন। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের মানুষ একের পর এক অর্জন করছে স্বাধীনতার সু্বর্ণ ফসল।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
বিএনপিকে খোঁচা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বীরের জাতি, চোরের জাতি নই। অন্তর জ্বালা, বড়ই অন্তর জ্বালা, জ্বালা কেন? শেখ হাসিনা নাকি জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করেছেন? এখন কীভাবে সমাবেশ করতে যাচ্ছেন? তিন ঘণ্টায় খুলনায় চলে গেলেন। এখন বড় বড় কথা বলছেন। জঙ্গিবাদ-আগুন সন্ত্রাস- মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। আমরা ভালো আছি তাই (বিএনপি) তাদের মনে বড় জ্বালা।
তিনি বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে সংকটে সহযোগিতায় পাশে থেকেছেন তেমনি সংকটে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাহসী সহযোদ্ধার নাম শেখ রেহানা। তিনি সাদাসিধে জীবনযাপন করেন। লন্ডন সিটিতে চাকরি করেন; বাসে যাতাযাত করেন তার নাম শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেছেন। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে এ উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোন বোন শেখ রেহানা। মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হলো। লাল ফিতা কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরীর সবচেয়ে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার প্রথম যাত্রী হবেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠেন। এ সময় তাকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। মঞ্চে উঠে নির্ধারিত দুটি চেয়ারে দুজন পাশাপাশি বসেন। সেখানে গল্পে মেতে ওঠেন তারা।
উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। পরের দিন (বৃহস্পতিবার) থেকে যাত্রীরা এ ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি ট্রেন প্রথম কয়েক দিনের জন্য প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে কারণ নগরবাসী এ নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়।
এমএইচ/এসএন
