প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন যারা

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা স্টেশন থেকে স্বপ্নের মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নিজে টিকিট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়বেন।
উত্তরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সবুজ রঙের পতাকা উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ট্রেনে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তার জন্য সংরক্ষিত আসনে চড়বেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও যারা মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন তারা হলেন— যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষক, ইমাম, অন্যান্য ধর্মযাজক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, দোকানি/বাদাম বিক্রেতা/সবজি বিক্রেতা, মেট্রোরেলের শ্রমিক, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী, একজন দৃষ্টি/বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কেটে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। সবমিলিয়ে দুই শতাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার মানুষও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রীদের তালিকায় থাকবেন।
জনসাধারণের জন্য স্বপ্নের এই বাহনের দ্বার খুলবে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। আপাতত সীমিত যাত্রী নিয়ে চলবে। যাতে যাত্রীরা ১০ মিনিটেই এই পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এ মেগা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইন (উত্তরা-মতিঝিল) নির্মাণ কাজ ২৬ জুন ২০১৬ সালে শুরু হয়। আজ এই লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন হবে।
কেএম/এসএন
