রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা চাই না রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রসহ কেউই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাক। এটা তাদের বিষয় নয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিদেশি কূটনীতিকরা নিয়মনীতির মধ্যে থেকে কথা বলবেন, বাংলাদেশ এমন প্রত্যাশা করে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য নিয়ম আছে এবং সে অনুযায়ী তারা কথা বলবে। আমরা আমেরিকা, পশ্চিমা দেশ সম্পর্কে বলেছি, অন্য দেশ সম্পর্কেও আমাদের একই বক্তব্য।
সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে বাগযুদ্ধ শুরু করে দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। পাল্টাপাল্টি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে দেশ দুটির ঢাকা দূতাবাস বক্তব্য দিয়েছে।
ঢাকায় রুশ দূতাবাস গত মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, গণতন্ত্র সুরক্ষা বা অন্য কোনো অজুহাতে বাংলাদেশসহ তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে রাশিয়া বদ্ধপরিকর। দুর্ভাগ্যবশত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষত, স্নায়ুযুদ্ধ শেষের পর থেকে), হস্তক্ষেপ না করার নীতি লঙ্ঘনের সমস্যাটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
এর পাশাপাশি রুশ দূতাবাসের টুইটারে একটি ব্যঙ্গচিত্রও প্রকাশ হয়।
পরদিন বুধবার (২১ ডিসেম্বর) পাল্টা বিবৃতি দেয় মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসের বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসরণ করে রাশিয়া অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর থাকার বিষয়টি তারা ইউক্রেনের ক্ষেত্রে অনুসরণ করেছিল কি না।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া কেন এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, সেটা তাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমরা চাই, প্রত্যেক দেশ যে নিয়ম আছে, জেনেভা কনভেনশন আছে, সে অনুযায়ী কাজ করবে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমরা পরিপক্ব, স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ-এটা সবার মনে রাখা উচিত। আমার এ বক্তব্য রাশিয়া, আমেরিকার সবার জন্য প্রযোজ্য। ওদের জিজ্ঞাসা করুন, আমার কাছে এত ঘ্যান ঘ্যান করছেন কেন?
আওয়ামী লীগ নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদাবোধ সমুন্নত রেখেছে। আমি নিশ্চিত নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
আরইউ/এমএমএ/
