ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই: ইসি রাশেদা

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। ভোট চলাকালীন ইভিএমে সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তাৎক্ষণিক সমাধান করা হবে। নির্বাচনে যত ইভিএম দরকার তার চেয়ে দ্বিগুণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সরকারি কলেজের অডিটরিয়ামে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোট চলাকালীন ইভিএমে ভোট প্রদান সংক্রান্ত একটি কাগজের মাধ্যমে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের দেখানো হবে কীভাবে ভোট দিতে হবে। ইতোমধ্যে পোলিং এজেন্ট, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, মক ভোটের আয়োজন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে লেবেল ফিল্ড নিশ্চিতকরণে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনের কাঠামোয় যা যা দরকার, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন, সেই সময়ে প্রশাসনের কেউ হস্তক্ষেপ বা প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলেছি। এমন কিছু ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বে থাকবে।
এর আগে রসিক নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ৬ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি রাশেদা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, মেট্রোপুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (আইন অনুবিভাগ) যুগ্ম সচিব মাহবুবার রহমান সরকার, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ বিভাগের যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্বে) শাহেদুন্নবী চৌধুরী, রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি. এম. সাহাতাব উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন।
প্রসঙ্গত, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসজি
