মিয়ানমার ৫ বছরে একজন রোহিঙ্গাও নেয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার কখনোই বলে নাই, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দেবে। তারা বলছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যাতে স্বেচ্ছায় যেতে চায়, যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করো। বলছে, করব। সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু এখন পর্যন্ত, ৫ বছর পার হয়েছে, একটাও লোক নেয় নাই। একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায় নাই। ওদের (মিয়ানমার) আন্তরিকতার অভাব। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে, দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক...আমরা এমনকি কোর্টেও গেছি।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরের ধোপাদিঘিরপাড়ের হাফিজ কমপ্লেক্সে 'আল খায়ের ফাউন্ডেশন'-এর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইলচেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা কয়েকদিন পরে পরে আমাদের দেশে আসে। সত্তর দশকে এসেছে, আশির দশকে, নব্বইয়ের দশকে এসেছে। পরে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকার তাদের নিয়েও গেছে। এবারের সংখ্যাটা অনেক বেশি। একেবারে এগারো লাখ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার শুরু করেছে, এর সমাধানও তাদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয়, বরঞ্চ বিশ্বের মোড়ল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোরও দায়িত্ব আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়েছি। সব যদি নাও যেতে পারে, কিছু লোককে তারা অন্য দেশে (পাঠানো)। আমাদের দেশ খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, প্রতি বর্গ মাইলে প্রায় ২৯শ লোক থাকে। আর আমেরিকায় মাত্র ৪০ জন থাকে। ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন লোক থাকে। ওদের দেশটা অনেক বড়। পৃথিবীটা আল্লাহর তৈরি, সব মানুষের অধিকার আছে বাঁচার। তাই আমরা উনাদেরকে বলেছি, আপনারা কিছু লোক নিয়ে যান। কিছু লোক নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এগুলো সমুদ্রের মধ্যে বিন্দুর মতো।
এসময় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসজি
