‘মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল’

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার সরকার পক্ষে না থাকলেও দেশটির জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল। আমরা পরে তাদের সম্মানিত করেছি।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাটির আয়োজন করে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে মুক্তযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকার পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। কিন্তু তাদের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা পরে তাদের সম্মানিত করেছি। আমাদের সহযোগিতা করলে যেমন সম্মান জানাই, আবার আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার প্রতিবাদও করতে জানি।
তিনি বলেন, যারা মনে করে, বাঁশিতে ফুঁ দিল আর দেশে স্বাধীন হয়ে গেল। এদের আসলে ভূগোল ও ইতিহাসের জ্ঞান আছে কি না সন্দেহ আছে। একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে। এ বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল— কীভাবে দেশটা সাজাবেন, প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করবেন, এ জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।
বাম-ডান মিলে সরকার উৎখাত মিলিত হয়েছে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় বামপন্থি আর কোথায় ডানপন্থি। যারা বামপন্থি তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বাম, স্বল্পবাম ও অতিবাম সবাই এখন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিলে গেছে। এ জন্যই বলা হয়, কী বিচিত্র বাংলাদেশ! যারা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, দেশের টাকা পাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে বড় বড় তাত্ত্বিকরা এক হয়ে যায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। কোথায় গেল তাদের আদর্শ?
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা চেয়েছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল।
আলোচনা সভায় অংশ নেন— আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভাটি সঞ্চালনা করেন।
আরএ/
