জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো.শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শুধু বৈদেশিক সহায়তায় নয় বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেও জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে ২০০৯ সালে গঠিত বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল হতে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই তহবিলের অর্থে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮৫০ টির অধিক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পেলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জোরালোভাবে কাজ করতে পারবে।’
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘কপ-২৭ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, এবারের সম্মেলনে কিছু সীমাবদ্ধ থাকলেও আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের মত জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও অর্থায়নের উৎস নির্ধারণ করা হয়নি, যা অতিদ্রুত করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ২০০ ৩০বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পেলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের জন্য বাংলাদেশের ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা হবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকোনোলজি এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। বিতর্কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকোনোলজি দল জয় লাভ করে।
পরে মন্ত্রী বিজয়ী দলকে পুরস্কার প্রদান করেন।
এনএইচবি/এমএমএ/
