রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন জাপানি রাষ্ট্রদূতের

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ক্যাম্পটিতে ৯ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ইউএনএইচসিআর'র দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, ইউনিসেফের একটি লার্নিং সেন্টার, ই-ভাউচার আউটলেট ও আপসাইক্লিং সেন্টার অব ডব্লিউএফপি পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা নাগরিকরা জাপানি সংস্থা ফাস্ট রিটেইলিং, ইউএনএইচসিআর এবং আরআরআরসি'র সহযোগিতায় স্বাস্থ্যসম্মত কিটস তৈরি করেন।
রাষ্ট্রদূত আইওএম'র সুরক্ষা ও ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরের টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত পুনর্বাসন প্রকল্পও পর্যবেক্ষণ করেন।
চলমান কার্যক্রম দেখে রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমি যখনই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করি, রোহিঙ্গা নাগরিকদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিওর অক্লান্ত পরিশ্রম দেখে মুগ্ধ হই। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে এটিই হবে আমার শেষ সফর। তবে আমি বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা নাগরিক ও হোস্ট সম্প্রদায়ের প্রতি আমার সহানুভূতি অব্যাহত রাখব।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, মিয়ানমার শিগগির নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তার দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে। এই সংকটের ৬ বছর হতে চলছে। এই বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাপান কাজ করে যাবে।
২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসান চরে বিভিন্ন কাজে ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে জাপান। এই সহায়তাগুলোর মধ্যে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, ওয়াশ, আশ্রয় ও সুরক্ষা অন্তর্ভুক্ত।
আরইউ/এসজি
