২০২১ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৫৩ শ্রমিক নিহত: বিলস

২০২১ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫৩ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পরিবহণ খাতের শ্রমিক বেশি মারা গেছেন। এ খাতের ৫১৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন।
রবিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) ‘বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদপত্রভিত্তিক বিলস জরিপ-২০২১’-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিলস এর ওয়েবসাইট জরিপটি প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি করা হয়েছে।
এর আগের বছর ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় বিভিন্ন খাতে ৭২৯ শ্রমিক মারা যান। তাদের মধ্যে ৭২৩ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী শ্রমিক ছিলেন।
২০২১ সালে নিহত শ্রমিকদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। ১ হাজার ৩ জন পুরুষ শ্রমিক মারা গেছেন। বাকি ৫০ জন নারী।
আহত হয়েছেন ৫৯৪ শ্রমিক। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪৭ শ্রমিক। তাদের মধ্যে আহতের সংখ্যা ১২৫।
পরিবহন খাতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে নির্মাণ খাতে। এ খাতের ১৫৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ কৃষি খাতের ৮৭ শ্রমিক মারা গেছেন।
এর পর খাদ্য উৎপাদনকারী শিল্পে ৫৫, দিনমজুর ৪৬, মৎস্যশ্রমিক ২৭, নৌ পরিবহন খাতে ২৪, অভিবাসী শ্রমিক ১৮, জাহাজভাঙা শিল্পে ১২, বিদ্যুৎ খাতে ১১ এবং তৈরি পোশাকশিল্পে ৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এ ছাড়া স্টিল মিল, মেকানিক, ইটভাটা, হকার, চাতাল ইত্যাদি সেক্টরে মারা গেছেন ১০২ জন শ্রমিক।
সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড, ভবনের ওপর থেকে পড়ে যাওয়া, পড়ন্ত বস্তুর আঘাত, বিষাক্ত গ্যাস, নৌ দুর্ঘটনা, দেয়াল বা ছাদ ধসে পড়া, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ইত্যাদি কারণে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি।
২০২১ সালে বিভিন্ন খাতে ৪৩১টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭২ শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে তৈরি পোশাক খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে পরিবহন খাতে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে পাটশিল্পে।
এ ছাড়া গণমাধ্যমে ২৩, কৃষি খাতে ২১, চিনিশিল্পে ১৮, টেক্সটাইল শিল্পে ১২, বিড়ি শিল্পে ৯, রেলওয়েতে ৮, খাদ্য উৎপাদনকারী খাতে ৬, হকার ৫, অভিবাসী শ্রমিক ৫ ও অন্যান্য খাতে ৬৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে।
বকেয়া বেতনের দাবিতে সর্বোচ্চ ১২৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া দাবি আদায়ে ১১৫, অধিকার আদায়ে ৭৪, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ২৭, লে-অফের কারণে ২৬, ভাতার দাবিতে ২২, বোনাসের দাবিতে ১৬ ও অন্যান্য দাবিতে ২৯টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে।
আরইউ/এমএমএ/
