বিজিবি-বিএসএফ এর ৪ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর রিজিয়ন কমান্ডারস (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলস্ (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার)-এর মধ্যে ৪ দিনব্যাপী ১৮তম সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ভারতের কলকাতায় এ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়ে ১৬ নভেম্বর শেষ হল।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবি’র উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুর-এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান, বিএসপি, পিএসসি (Brigadier General A B M Nowroj Ehsan, BSP, Psc)-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. অতুল ফুলজেলে, আইপিএস (Dr. Atul Fulzele, IPS)-এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের শুরুতে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. অতুল ফুলজেলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিজিবি ও বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি কার্যকর ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)’ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান এ বি এম নওরোজ এহসান সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভুমিকার কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে জয়েন্ট ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গাইডলাইন-১৯৭৫ অনুসরণ এবং কার্যকরভাবে সিবিএমপি বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি উভয় বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজিবি ও বিএসএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
কেএম/এএস
