পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাজিলের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের নতুন রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সোমবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং ব্রাজিলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি ব্রাজিলের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও ‘লুলা’ দা সিলভাকে তার অসাধারণ বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার রাজনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
সাম্প্রতিক ব্রাজিল সফরের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় চুক্তি এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং বাংলাদেশ এবং ব্রাজিলের রিও ব্র্যাঙ্কো ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সমাপ্ত করার জন্য ব্রাজিল সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ব্রাজিলের শীর্ষ চেম্বারের সঙ্গে তিনটি ব্যবসায়িক সমঝোতা স্মারক দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বৃহত্তর বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রাজিল থেকে চিনি, গম, সয়াবিন তেল আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
তারা বাংলাদেশে উচ্চ জাতের গরু, মুরগি ও হাঁস-মুরগির খাদ্য, মৎস্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন। প্রতিমন্ত্রী আরও আশা প্রকাশ করেন যে, ব্রাজিল মার্কোসুর দেশগুলির সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোগকে সহজতর করবে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার মেয়াদে তিনি ব্রাজিলিয়ানদের কাছে বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে, জনগণের কাছে এবং ব্যবসায়িক যোগাযোগকে শক্তিশালী করতে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রশস্ত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করতে চান।
রাষ্ট্রদূত ফেরেস গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে পারস্পরিক সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকায় থাকাকালীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরইউ/এমএমএ/
