বনজ কুমারের মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে বাবুল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখান এবং সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার ও তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয় বাবুল আক্তারকে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো: হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো: আবদুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে আসে মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সম্প্রতি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান। এ ছাড়া তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষীও সাজানো হয় বলে ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়।
কেএম/আরএ/
