বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বান্ধবী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকালে বুশরাকে তার রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল।
তিনি বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বান্ধবীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
এর আগে বুধবার (৯ নভেম্বর) ফারদিনকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে এনে তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা রাজধানীর রামপুরা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
ওসি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলার বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর বনানি ঘাট থেকে নিখোঁজ ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। তার মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যাওয়াতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। পরদিন তার বাবা নূরউদ্দিন রানা রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি জিডি করেন। পরে সন্তানের খোঁজ চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন নূর উদ্দিন রানা। সেখানে তিনি বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে শেষবার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দেখা যায়। ওই দিন রাত পৌনে ১১ থেকে ১১টার মধ্যে ফারদিন সেখানে অবস্থান করছিলেন। এরপর তার বুয়েটের হল কিংবা বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে ফেরেনি।
আরও পড়ুন>>>
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যায় রামপুরা থানায় মামলা
বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যাকাণ্ডের শিকার: চিকিৎসক
ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান বুয়েট ছাত্র ফারদিনের বাবা
বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা: বিচারের দাবি সহপাঠীদের
কেএম/আরএ/
